আলমডাঙ্গায় পুকুরে ক্যানেলের পানি নিতে গিয়ে ক্যানেলের পাড় ভেঙে ফেলেছে দুই মৎস খামারি
নিজেদের মাছের খামারে ক্যানেলের পানি নিতে গিয়ে ক্যানেলের পাড় ভেঙে ফেলেছে দুই মৎস খামারি। এবছর পুরাতন পুকুর নতুন করে খনন করেছে। ক্যানেলের পাড়ের নিচে সুড়ঙ্গ করে পাইপ দিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে মাছের খামারে পানি নিচ্ছিল তারা। এর ফলে পাড়টি ধ্বসে ক্যানেলের পানিতে মিশে গেছে। এতে একটি জীবন্ত গাছ উপড়ে পড়েছে। আরও ৮ থেকে ১০টি মেহগনি গাছ হুমকির মধ্যে পড়েছে। এ পাশর্^ ক্যানেলের পাড় ভেঙ্গে যাওয়ায় ওই এলাকার কৃষকরা তাদের জমিতে চাষ করার জন্য পানি পাচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেছে অনেকে।
সরেজমিন দেখা গেছে, আলমডাঙ্গার জিকে ক্যানেলের বেলগাছি অংশ থেকে পুরাতন মসজিদপাড়ার (ঝোড়পাড়া) দিকে বেরিয়ে যাওয়া সাব-ক্যানেল ১২-এজি। দীর্ঘদিন পর ক্যানেলে পানি এসেছে। আর এই পানি সকল সাব ক্যানেল ও খাল এখন পানি টইটম্বুর হয়েছে। চাষীরা ক্যানেলের পানি দিয়ে চাষ করছে। এর পাশেই মাছের খামার করেছে দুই মৎস খামারি বলগাছি গ্রামের পুরাতন মসজিদপাড়ার আব্দুল হামিদের ছেলে বাদল ও মৃত তারাচাঁদ মন্ডলের ছেলে আব্দুল জলিল। দু'জনই ক্যানেলের পাড়ের পুরাতন পুকুর এক্সকেভেটর দিয়ে নতুন করে খনন করেছে। তাদের দুজনে নামে পুকুর খনন করে মাটি বিক্রয় করেছে বলেও অভিযোগ করেছে অনেকে। তারা ক্যানেলের পাড়ের নিচে সুড়ঙ্গ করে পাইপ দিয়ে ক্যানেল থেকে নিজেদের মাছের খামারে পানি নিয়ে আসছিল। এর মধ্যে বাদলের করা সুড়ঙ্গ ধ্বসে যায়। ক্যানেলের পাড় ধ্বসে যাওয়ায় হুমকিতে পড়েছে পাড়ে বেড়ে ওঠা ৮/১০টি মেহগনি গাছ। যেকোনও মুহুর্তে গাছগুলি উপড়ে পড়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।
তারা বলেন, কর্তৃপক্ষের চরম উদাসীনতার কারণে বাদল ও জলিল নিজ স্বার্থে সরকারী ক্যানেলের পাড় ধ্বংস করছে। এখনই ক্যানেলের ভেঙে যাওয়া অংশ সংস্কার না করলে গাছগুলি উপড়ে যেতে পারে। এই মাঠের কৃষকরাও পানি পাবে না।
দায়ী মৎস খামারী বাদল এই প্রতিবেদককে পত্রিকায় নিউজ না করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, নিউজ করার দরকার নেই। ওয়াপদা তো কিছু বলছে না, সাংবাদিকের সমস্যা কি!
চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ আহমেদ বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ক্যানেলের পাড় দ্রæত সংস্কার করা হবে। খোঁজ নিয়ে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন তিনি।