আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জে মাদ্রাসা শিক্ষক কতৃক ছাত্র বলতকারের অভিযোগ : শিক্ষককে গণধোলাই
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জে আজিজুল উলম ক্বওমী মাদ্রাসা ও এতিমখানা লিল্লাহ বোডিং এর নূরানী শিক্ষক মাওলানা আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে নূরানী বিভাগের ১ম শ্রেণীর ছাত্রকে বলতকারের অভিযোগে গণধোলাই দিয়েছে স্থানীয় জনতা। গতকাল রাত ৯ দিকে এই ঘটনা ঘটে।
মাদ্রাসা ছাত্রের পিতা ও মাতা অভিযোগ করে বলেন, ঈদের আগে বৃহস্পতিবার মাদ্রাসা ছুটি হয়ে যায়। ছেলে বাড়িতে আসলে ছেলের আচরন অসাভাবিক দেখা যায়। তাকে জিজ্ঞাসা করলে বলে মাদ্রাসা শিক্ষক ভয়ভীতি দেখিয়ে বলতকার করেছে বলে জানাই সে। ঘটনাটি কাউকে কিছু না বলে গতকাল রাত ৯ টার দিকে ওই ছাত্রের পিতা মাতা সহ স্থানীয় লোকজন ওই মাদ্রাসায় আসেন। এসময় মাদ্রাসা শিক্ষক পালানোর চেষ্টা করে। তাকে আটক করে গণধোলাই দেয় স্থানীয় জনতা। ওই ছাত্র বলে, মাদ্রাসা শিক্ষক প্রায় প্রতিদিন গভীর রাতে ভয় দেখিয়ে জোর করে মাদ্রাসার বাথরুমের পাশে নিয়ে গিয়ে খারাফ কাজ করত।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে, অনুপনগর গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে অভিযুক্ত আজিজুল উলম ক্বওমী মাদ্রাসা ও এতিমখানা লিল্লাহ বোডিং এর নূরানী শিক্ষক মাওলানা আব্দুস সালাম বলতকারের ঘটনা আংশিক স্বীকার করছেন।
এব্যপারে আজিজুল উলম ক্বওমী মাদ্রাসা ও এতিমখানা লিল্লাহ বোডিং এর বড় হুজুর মাওলানা রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি ঈদের ছুটির আগে বৃহস্পতিবার মাদ্রাসার ছাত্রদের কাছে থেকে অভিযোগ শুনে শিক্ষক ও ছাত্রের কাছে জানতে চাই কেউ আমার কাছে স্বীকার করেনি।
সাংবাদ পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আজিজুল উলম ক্বওমী মাদ্রাসা ও এতিমখানা লিল্লাহ বোডিং এর নূরানী শিক্ষকে আটক করে।
এব্যপারে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ গনি মিয়া বলেন, এবিষয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে । আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।