আলমডাঙ্গায় গর্তের পানিতে ডুবে বাক প্রতিবন্ধি শিশুকন্যা খাদিজার মৃত্যু
আলমডাঙ্গায় পানিতে ডুবে বাক প্রতিবন্ধি খাদিজা নামের এক শিশুকন্যার মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২২ জুন) সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের গর্তের পানিতে ডুবে মারা যায় খাদিজা। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষনা করেন চিকিৎসক। এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বাকপ্রতিবন্ধি শিশুকন্যা খাদিজা খাতুন(৭) উপজেলার কালিসদাসপুর ইউনিয়নের আসাননগর গ্রামের লিটন আলীর মেয়ে। ২ ছেলে ১ মেয়ের মধ্যে বাকপ্রতিবন্ধি খাদিজা সবার ছোট। খাদিজা বাকপ্রতিবন্ধি হওয়ায় পরিবারের সকলের কাছে প্রিয়পাত্রী ছিল সে।
দীর্ঘদিন পর শনিবার দুপুরে আলমডাঙ্গাসহ আশপাশ এলাকায় প্রায় ঘন্টাব্যাপি মুষলধারে বর্ষন হয়। বৃষ্টিতে এলাকার পুকুর, গর্তগুলো পানিতে ভর্তি হয়ে যায়। শনিবার সন্ধ্যায় খাদিজা বাড়ি থেকে বের হয়ে পাশেই খেলা করছিল। বাড়ি থেকে প্রায় ১শ গজ দূরে এক গর্তের পাশে পায়ের স্যান্ডেল খুলে অবচেতন মনে পানিতে নেমে পড়ে খাদিজা। গর্তটি গভীর হওয়ায় সে আর উপরে উঠতে পারেনি। কিছু সময় পর খাদিজার মা নাজমুন্নাহার খোঁজাখুজি শুরু করেন। গর্তের পাশে মেয়ের স্যান্ডেল দেখে চিৎকার শুরু করেন তিনি। প্রতিবেশিরা ছুটে এসে দেখতে পায় খাদিজার মাথার চুল পানিয়ে ভাসছে। নাজমুন্নাহার পানিতে নেমে মেয়েকে বুকে নিয়ে ডাঙ্গায় তোলেন। তাকে দ্রæত স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষনা করেন।
শিশুকন্যা খাদিজার মা নাজমুন্নাহার জানান, আমার মেয়ে খাদিজা কথা বলতে পারে না। একাই খেলা করে বেড়ায় । দুপুরে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। সন্ধ্যার আগে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। কিছু সময় পর তাকে না পেয়ে খোঁজাখুজি শুরু করি। তাকে খুজতে খুজতে গর্তের পাশে গিয়ে খাদিজার স্যান্ডেল পড়ে আছে। পানিতে মাথার চুল ভাসতে। পানিতে লাফ দিয়ে উপরে নিয়ে আসি। প্রতিবেশীরা ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। কান্নাজড়িত কন্ঠে তিনি বলেন, "আমার মেয়েকে বাচাতে পারলাম না।
এবিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ পরির্দশক তদন্ত আবু সাঈদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আসাননগর গ্রামে পানিতে ডুবে একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে।