আলমডাঙ্গায় ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে হাত হারালো শিশুকন্যা মাইশা
আলমডাঙ্গা স্টেশনে প্লাটফর্মের বাইরে কিছু বগি থামায় বিপত্তি। নামতে গিয়ে হাত হারালো শিশুকন্যা মাইশা। বৃহস্পতিবার ২০ জুন দিনগত রাতে ঢাকা থেকে খুলনাগামী চিত্র ট্রেনে এঘটনা ঘটে। শিশু মাইশা আলমডাঙ্গা আনন্দধাম এলাকার মোমিন মাস্টারের ভাতিজা। শিশু মাইশা ৮ পারা কোরআনের হাফেজ।
জানা যায়,আলমডাঙ্গা আনন্দধাম এলাকার মোমিন মাস্টারের ভাই শরিফুল ইসলাম ঢাকার বাড্ডায় বসবাস করেন। বৃহস্পতিবার তিনি সপরিবারে চিত্রা ট্রেনে আলমডাঙ্গায় ভাইয়ের বাসায় আসছিলেন। রাত আড়াইটার দিকে ট্রেন আলমডাঙ্গা স্টেশনে পৌঁছে। ট্রেনের বগি বেশি থাকায় বেশ কয়েকটি বগি প্লাটফর্ম অতিক্রম করে বাইরে থামে। প্লাটফর্মের বাইরে দাঁড়ানো একটি বগি থেকে প্রচন্ড ভিড় ঠেলে দ্রæত নীচে নামা শুরু করেন শরিফুল পরিবার। ইতোমধ্যে ট্রেন আবার চলতে শুরু করে। সে সময় শরিফুলের ১২ বছরের শিশুকন্যা মাইশা খাতুন চটজলদি নামতে গিয়ে পড়ে যায়। বোনকে বাঁচাতে ট্রেনের নিচে লাফ দেয় ভাই আব সাঈদ। সে সময় মাইশার ডান হাত ট্রেনের চাকায় কেটে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আবু সাইদ ছোট বোনকে প্রাণে রক্ষা করলেও তার আগেই বোনের ডান হাত কেটে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
মাইশাকে উদ্ধার করে প্রথমে আলমডাঙ্গা ফাতেমা টাওয়ারে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শি সবুজ জানান, তিনি একজনকে চিত্রা ট্রেনে উঠাতে যান। প্লাটফর্মের বাইরে কয়েকটি বগি ছিল। শরিফুল ইসলাম তার পরিবার নিয়ে যে বগিতে ছিলেন সেটা প্লাটফর্মের বাইরে। প্রথমে শরিফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী নেমে আসে। এরই মধ্যে ট্রেন চলতে শুরু করে। তারপর চলন্ত অবস্থা একটি মেয়ে ও সাঈদ নামের ছেলেটি নামে। সবার শেষে শিশু মাইশা নামতে যায়। সে নামতে গিয়ে প্লাটফর্ম ও ট্রেনের মাঝে ফাঁকে পড়ে যায়। তাকে বাঁচাতে লাফ দেয় ভাই আবু সাঈদ। তারা দুভাইবোন প্রাণে বাঁচলেও শিশু মাইশার ডান হাত কাটা পড়ে।