আলমডাঙ্গার মাধবপুর মডেল হাইস্কুলের শিক্ষক আক্তারুজ্জামান অজ্ঞান পার্টির কবলে
আব্দুল্লাহ আল মামুন: আলমডাঙ্গার মাধবপুর মডেল হাইস্কুলের চারু-কারুকলার শিক্ষক আক্তারুজ্জামান অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়ে স্বর্বস্ব হারিয়ে ঝিনাইদহ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। ১০ জুন তিনি যশোর থেকে বিএড পরীক্ষা শেষ করে বাস যোগে বাড়ি ফেরার পথে তাকে অজ্ঞান করে সবকিছু নিয়ে যায় চক্রটি।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার মাধবপুর মডেল হাইস্কুলের চারু-কারুকলার শিক্ষক আক্তারুজ্জামানের বাড়ি ঝিনাইদাহ জেলার মহেশপুর গ্রামে। তিনি কয়েক বছর আগে আলমডাঙ্গা মাধবপুর মডেল হাইস্কুলের চারু-কারুকলার শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। এছাড়াও তিনি সরোজগঞ্জ কম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশনের চারুকারুকলা বিভাগের শিক্ষক। তিনি যশোর পালবাড়ি মোড়ে বিএড কোর্সে ভর্তি হয়েছেন। ১০ জুন সোমবার বিএড পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শেষে করে তিনি দুপুর আড়ায়টার দিকে গ্রামের বাড়ি যশোর পালবাড়ি থেকে রাসেল পরিবহনের বাসে ওঠেন।
পাশের সিটে বসা অজ্ঞান পার্টির চক্র যাত্রীর অনুরোধে ডাবের অর্ডার করেন। কৌশলে ডাবের পানিতে চেতনানাশক মেডিসিন মিশিয়ে শিক্ষক আক্তারুজ্জামানকে খেতে দেয়। ডাবের পানি খাওয়ার পর পরই তিনি জ্ঞান হারান। এই সুযোগে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা স্বর্ণের আংটি, পকেট থেকে দুইটা স্মার্ট ফোন এবং কাগজপত্রসহ টাকার ব্যাগ নিয়ে তাকে বাসের ফেলে রেখে চলে যায়। বাসটি মহেশপুরের সামন্তা এলাকায় শেষ স্টপে পৌছালে এলাকার পরিচিত মানুষ সেখান থেকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে জীবননগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন ।
কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করায় প্রায় ২০ ঘন্টা পর জ্ঞান আসে। সরোজগঞ্জ কম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক কামরুজ্জামান কাঞ্চনসহ চারু-কারুকলার সকল শিক্ষার্থী শিক্ষক আক্তারুজ্জামানের স্যারের সুস্থ্যতা কামনা করেছেন।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ডাক্তার জাকির হোসেন জানান, রোগী এখন সম্পূর্ণ আশংকামুক্ত।
শিক্ষক আক্তারুজ্জামানের জ্ঞান আসার পর তার কাছে ঘটনা জানতে চাইলে তিনি বলেন এমন দূর্ঘটনা আসলে মেনে নেওয়া দু:ক্ষজনক। তিনি চক্রটিকে সনাক্ত করে দ্রæত আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে দাবি যানান।