৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জামজামি ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই শরিয়তুল্লাহ পেটালো গ্রামপুলিশকে

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
মে ৩, ২০২৪
197
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 


আলমডাঙ্গার মধুপুরে এক কিশোরী বধূর আত্মহত্যাকে পুঁজি করে লেনদেনের কথা চলছিল। কিন্ত স্থানীয় গ্রামপুলিশের এক মোবাইলফোনের রিং সব ভেস্তে দিল। লেনদেন ভেস্তে যাওয়ার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করে ওই গ্রামপুলিশকে বেধড়ক মারধর করেছেন জামজামী ক্যাম্প পুলিশের ক্ষুদ্ধ আইসি এস আই শরিয়তউল্লাহ। মঙ্গলবার গ্রামপুলিশ জাফিরুলকে ডেকে নিয়ে মারধর করেন তিনি।


গত রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে আলমডাঙ্গা উপজেলার মধুপুর গ্রামে স্বামী ইমনের বাড়িতে কিশোরী বধু ইসমোতারা(১৭) আত্মহত্যা করে।


ইসমোতারার আত্মহত্যার পর জামজামী ক্যাম্পের আইসি এস আই শরিয়তউল্লাহ থানার ওসিকে আত্মহত্যার ঘটনা না জানিয়ে গোপনে আপোষরফার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ উঠে। এ চেষ্টায় মধুপুর গ্রামের আওয়ামিলীগের কয়েকজন নেতা যোগ দেন।


কিন্ত ক্যাম্পের আইসি ও আওয়ামিলীগ নেতার অর্থনৈতিক সব আয়োজন ভন্ডুল করে দেয় স্থানীয় গ্রামপুলিশ জাফিরুল। তিনি নিজের ডিউটি ভেবে নিয়মমাফিক আত্মহত্যার ঘটনা থানার ওসিকে মোবাইলফোনে রিং দিয়ে জানিয়ে দেন। খবর পেয়ে থানা পুুলিশ গভীর রাতে লাশ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেন। পরদিন সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। আর গ্রামপুলিশের ওই এক মোবাইলফোনেই আইসির সব অর্থনৈতিক আয়োজন ভেস্তে যায়।


এতে ক্যাম্পের আইসি ও স্থানীয় আওয়ামিলীগ নেতারা ভীষণ চটে যান গ্রামপুলিশ জাফিরুলের ওপর। মঙ্গলবার রাতে মাঠের ভেতর এক ব্রীজের পাশে জাফিরুলকে ডেকে নেওয়া হয়। 'তোর ওসি বাপকে ( ওসি) কেন মোবাইল করেছিস? 'তোর ওসি বাপকে ডাক।" বলেই জাফিরুলকে বেধড়ক মারপিট করেন আইসি শরিয়তউল্লাহ। এসময় ক্যাম্পের কনস্টেবল আনোয়ারও জাফিরুলকে মারতে থাকেন।


নির্যাতিত গ্রামপুলিশ জাফিরুল জানায়, "আমাদের গ্রামে ইমনের স্ত্রী ইসমতারা আত্মহত্যা করে। আমি ডিউটি মনে করে ওসিকে জানাই। এতেই আইসি রেগে গিয়ে তোর ওসি বাপকে ডাক বলেই আমাকে মারধর শুরু করেন। কনস্টেবল আনোয়ার আমার মোবাইলফোন কেড়ে নেন। এ ঘটনায় আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।"
এব্যাপারে জামজামী ক্যাম্পের আইসি শরিয়তউল্লাহ নিজের অপরাধ স্বীকার করে বলেন, " আত্মহত্যার ঘটনা জাফিজুল প্রথমে আমাকে না জানিয়ে ওসিকে জানান। এতে আমি রেগে গিয়ে একটু মারধর করেছি। পরে আমি ভুল বুঝতে পেরেছি।" তিনি এই বিষয়টি পত্রিকায় নিউজ না করতেও সাংবাদিককে অনুরোধ করেন।


আলমডাঙ্গা থানার ওসি ( অফিসার ইনচার্জ) শেখ আব্দুল গণি জানান, এ বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবহিত নই।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram