আলমডাঙ্গায় স্বামীর ওপর অভিমান করে এক কিশোরী বধূ আত্মহত্যা
আলমডাঙ্গায় স্বামীর ওপর অভিমান করে এক কিশোরী বধূ আত্মহত্যা করেছে। ঘরের আড়ার সাথে পরনের শাড়ি গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে সে। রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। এদিকে কিশোরী বধুর পিতার দাবী, তার মেয়েকে মেরে শাড়ি গলায় পেঁচিয়ে আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। আলমডাঙ্গা থানা পুুলিশ গভীর রাতে লাশ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে আসে। গতকাল সকালে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কিশোরী বধু ইসমতারা (১৭) উপজেলার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের শাহিন আলীর মেয়ে। ইসমোতারা একই উপজেলার জামজামি ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের দাসপাড়ার ইমন আলীর স্ত্রী।
প্রতিবেশিরা জানায়, ইমন বাড়িতে ছিল না। পাশের বাড়ির এক মেয়ে দরজার ফাঁক দিয়ে দেখতে পায় ঘরের আড়ার সাথে ঝুলছে ইসমোতারা। পরে প্রতিবেশিরা দরজা খুলে ঘরের আড়া থেকে শাড়ি কেটে ইসমতারাকে মাটিতে নামায় । তার আগেই সে মারা যায়।
কিশোরী বধু ইসমতারার পিতা শাহিন আলী জানান, প্রায় ১ বছর পূর্বে ইসমতারাকে উপজেলার মধুপুর গ্রামের আনিস আলীর ছেলে ইমন আলীর সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ইমন আলী মাঝে মাঝে ইসমতারাকে নির্যাতন করত। তার নিকট থেকে টাকা নিয়ে দেওয়ার জন্য মেয়েকে চাপ দিত ইমন আলী। রবিবার মেয়ে ও ইমনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে ইসমতারার মৃত্যুর সংবাদ পাই। তিনি জানান, ইসমোতারার গলায় ফাঁস দেওয়ার কোন চিহ্ন নেই। গলায় মারের চিহ্ন রয়েছে। সংবাদ পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা ও জামজামি ক্যাম্প পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ গণি মিয়া জানায়, ইসমতারা নামে একটি মেয়ে স্বামীর বাড়িতে আত্মহত্যা করেছে। এবিষয়ে তার পিতা একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে। লাশের সুরতাহাল রিপোর্ট সম্পন্ন করে রাতেই লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সকালে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসলে পরবর্তি আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।