আলমডাঙ্গায় নিখোঁজের ৬ দিন পর মধ্যবয়সী নারীর অর্ধগলিত ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
আলমডাঙ্গায় নিখোঁজের ৬ দিন পর মধ্যবয়সী নারীর অর্ধগলিত ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মধ্যবয়সী ওই নারী গত বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ি বেরিয়ে আর ফিরে আসেনি। গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে গ্রামের বড় মসজিদের পিছনের বাগানের একটি গাছে তাকে ঝুলতে দেখেন মজিবুল নামের এক প্রতিবেশী। এরপর তিনি থানা পুলিশে সংবাদ দেন। পুলিশ বিকাল ৪ টার দিকে ওই নারীর ঝুলন্ত মরাদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধারকৃত নারী নিথরী খাতুন(৫০) উপজেলার পারদূর্গাপুর গ্রামের বড় মসজিদপাড়ার আব্দুল জলিলের স্ত্রী। তার দুই ছেলে ২ মেয়ে রয়েছে। এক ছেলে আগেই মারা গেছে।
নিথরী খাতুনের স্বামী আব্দুল জলিল জানান, তার স্ত্রী নিথরী খাতুন ইতোপূবেও বেশ কয়েকবার বাড়ি থেকে হারিয়ে গিয়েছিলেন। বিভিন্ন আত্মাীয় স্বজনের বাড়িতে খোঁজাখুজির ৫/৬ দিন পর তাকে পেয়ে আবার বাড়িতে নিয়ে আসি। তিনি জানান, গত বুধবার সন্ধ্যায় বাড়িতে রান্না করছিল। মসজিদ থেকে বাড়িতে এসে তিনি দেখেন তার স্ত্রী বাড়িতে নেই। তাকে গত ৬ দিন ধরে প্রতিবারের মত আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে খোঁজাখুজি করেছি। এবার আর পাওয়া যায়নি।
৬ দিন নিখোঁজ থাকলেও পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোন ডিজি করা হয়নি কেন জানতে চাইলে ইউপি সদস্য ওহিদুল ইসলাম জানান, ইতোপূর্বেও তিন সে বাড়ি থেকে চলে গিয়ে আত্মীয় স্বজনদের বাসায় ছিল। খোঁজ করে তাকে আবার বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। সে কারণে এবারও সবাই মনে করেছে কারও বাড়িতে আছে।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ গণি মিয়া জানান, পারদূর্গাপুর গ্রামে একটি নারীর লাশ ডোবার পাড়ের গাছে ঝুলছে, এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গত ৬ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। লাশের সুরতাহাল রিপোর্ট সম্পন্ন করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।