আলমডাঙ্গায় বৈশাখী মেলায় মুগ্ধতা ছড়ালো ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় বৈশাখী মেলার শেষ দিনে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে তিন দিনব্যাপী বৈশাখী মেলর শেষ দিন এই লাঠিখেলার আয়োজন করে মেলা কমিটি।
লুপ্তপ্রায় লোকজ ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সাথে বর্তমান প্রজন্মের মেলবন্ধন রচনা করতেই নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী এ বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী দিনে লোকজ সংগীত-নৃত্য, দ্বিতীয় দিনে ঐতিহ্যবাহী ঝাপান ও তৃতীয় দিনে লাঠিখেলা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আয়োজন শেষ হয়।
লাঠিখেলায় অংশ নেয় সদর উপজেলার ২ টি ইউনিয়নের দল। বিলুপ্তপ্রায় লোকজ ঐতিহ্যবাহী এ খেলা দেখতে শ'শ' নারী-পুরষ ভিড় করেন।
খেলা দেখতে আসা মাদ্রাসা শিক্ষক রহিদুল ইসলাম বলেন, '৮০'র দশকেও তুমুল জনপ্রিয় ছিল ঐতিহ্যবাহী এ লাঠিখেলা। এখন কালের বিবর্তে হারিয়ে যেতে বসেছে বিনোদনের উৎস এই খেলা। করোনার কারণে দুই বছর বন্ধ থাকার পর আবার তা চালু করা হয়েছে মেলা। আপামর জনগণ এই খেলা চালু হওয়ায় খুশিতে মেতে উঠেছে।
আলমডাঙ্গা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু জানান, হারিয়ে যাওয়া লাঠিখেলা ফিরিয়ে আনতে তাঁরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ঝাপান ও লাঠিখেলা বাঙ্গালীর ঐতিহ্যবাহী খেলা।
আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস জানান, লুপ্তপ্রায় লোকজ ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সাথে বর্তমান প্রজন্মের মেলবন্ধন রচনা করতেই নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী এ বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়। আমরা মনে করি আমাদের লক্ষ্য অনেকটাই অর্জিত হয়েছে।