আলমডাঙ্গায় কলেজে যেতে নিষেধ করায় ইতালি প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় কলেজে যেতে নিষেধ করায় ইতালি প্রবাসীর স্ত্রী কলেজ ছাত্রী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাতে স্বামী ও পিতার উপর অভিমান নিজ ঘরের আড়ার সাথে উড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আত্মহত্যাকারী মুক্তি খাতুন(১৮) উপজেলার পারদূর্গাপুর গ্রামের মইনুল হোসেনের মেয়ে ও আপন চাচাতা ভাই ইতালি প্রবাসী আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী। মুক্তি খাতুন আলমডাঙ্গা মহিলা ডিগ্রী কলেজের এইচএসসি ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী।
জানাগেছে,মুক্তি খাতুনের সাথে তার আপন চাচাতো ভাই ইতালী প্রবাসীর সাথে প্রায় ১ বছর আগে মোবাইলে বিয়ে হয়। বিয়ে ৬ মাস পর ইতালি প্রবাসি আনোয়ার হোসেন বাড়ি এসে আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে স্ত্রীকে ঘরে তোলেন। ৩ মাস দেশে থাকার পর আনোয়ার হোসেন আবারও ইতালি ফিরে যান। মুক্তি খাতুনকে ইতালি নিয়ে যাবে। যার কারণে কলেজে যেতে নিষেধ করে মুক্তির বাবা ও স্বামী। নিষেধ করার কয়েক মিনিট পরই সে নিজ ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
মুক্তি খাতুনের বাবা মইনুল হোসেন জানান, তার বড় ভাই মারা যাওয়ার পর তার ছেলে আনোয়ার হোসেনকে ছোট থেকে বড় করে ইতালি পাঠিয়েছি। তার মেয়ে বড় হলে গত এক বছর আগে ভাইয়ের ছেলে ইতালি প্রবাসির সাথে মোবাইলের মাদ্যমে বিয়ে দিই। বিয়ের ৬ মাস পর বাড়ি এসে অনুষ্ঠান করে তার স্ত্রীকে ঘরে তোলে। প্রায় ৩ মাস দেশে থাকার পর আবারও আনোয়ার ইতালি চলে গেছে। তার মেয়ে মুক্তি খাতুনকে ইতারি নিয়ে যাবে। সে জন্য গতরাতে তিনি মেয়েকে কলেজে যেতে নিষেধ করেন। এ কারণে নিষেধ করার কয়েক মিনিট পরই ঘরে ঢুকে আত্মহত্যা করেছে। তিনি প্রায় ১ ঘন্টা পর মেয়ে ডেকে না পেয়ে দরজা ভেঙ্গে দেখতে পায় ঘরের আড়ার সাথে মেয়ের লাশ ঝুলছে।
১৪ এপ্রিল বাদ যোহর জানাযার নামাজ শেষে গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
এবিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ গণি মিয়া জানান, পারদূর্গাপুর গ্রামের মুক্তি খাতুনকে কলেজে যেতে নিষেধ করার সে আত্মহত্যা করেছে। এবিষয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে। লাশের সুরতাহাল রিপোর্ট সম্পন্ন করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় এবং বিনা ময়না তদন্তে লাশ দাফনের আবেদন করায় লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।