আলমডাঙ্গার সাহেবপুরের সাবলুকে মারপিট করার অভিযোগ তুলে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের
আলমডাঙ্গার সাহেবপুর গ্রামের সাবলুকে মারপিট করার অভিযোগ তুলে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে হামলা করা হয়েছে অভিযোগ তুলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাহেবপুর গ্রামের বহু সংখ্যক মানুষ আলমডাঙ্গা থানায় জড়ো হন। গত ৪ এপ্রিল রাতে থানায় উপস্থিত হয়ে তরিকুল ইসলামসহ তার গ্রুপের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়েরের চেষ্টা করেন। রাতে মৌখিকভাবে অভিযোগের পর শুক্রবার সকালে তরিকুল ইসলামসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সাবলু।
সাহেবপুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে শাবলু ইসলাম কর্তৃক লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে যে, গ্রামটিতে বিবাদমান দুটি গ্রুপ রয়েছে। একটি গ্রুপ সিনিয়র জুডিশিয়াল জজ তরিকুল ইসলামকে তাদের নেতা মানে।
গ্রামসূত্রে জানা যায়, সাহেবপুর গ্রামের হবিবর রহমানের ছেলে তরিকুল ইসলাম সাতক্ষীরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। সম্প্রতি তিনি মেহেরপুর জেলা থেকে সাতক্ষীরা জেলায় বদলি করা হয়েছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তরিকুল ইসলাম গত ৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮ দিকে নিজের গ্রæপের লোকজনকে সাথে নিয়ে মোটরসাইকেল মহড়া দিতে দিতে গ্রামের ভেতর দিয়ে যাচ্ছিলেন। এক পর্যায়ে গ্রামের শাকিলের চায়ের দোকানের সামনে বসে থাকা প্রতিপক্ষ গ্রæপের বেশ কিছু লোকজনের সাথে তাদের বাকবিতান্ডা হয়। সেখানে বসে থাকা শাবলু ইসলামকে উদ্দেশ্য করে গালমন্দ করতে থাকেন জজ গ্রুপের লোকজন। এক পর্যায়ে তরিকুল ইসলাম ও তার লোকজন শাবলু ইসলামকে মারধর করেন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে গ্রামের কারও মেয়ের বিয়ের আয়োজন হলে, এ গ্রæপ মেয়ের বাবার নিকট চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিতে পারলে বিয়ে পন্ড করে দেয়। এমনকি ফাঁড়ি পুলিশ ব্যবহার করে মেয়ের বাবাকে জব্দ করা হয়। গ্রামের শহিদুল ইসলাম মেয়ের বিয়েতে চাঁদা দিতে না পারায় তারা বিয়ে বন্ধ করেন, তাকে একঘরে করে রাখা হয়েছে। মেয়ের বিয়েতে দাওয়াত না দেওয়ার ঘটনায় মিথ্যা মামলায় জেল খাটার নজির হয়ে আছেন গ্রামের আবু সদ্দিনের।
আলমডাঙ্গা থানার ওসি (তদন্ত) আবু সাঈদ জানান, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।