খামারে কৃত্রিম প্রজননে প্রতারণা করায় এআই টেকনিশিয়ান আব্দুল মান্নানকে জরিমানা
কৃত্রিম প্রজননে প্রতারণাসহ সেবা মূল্য বেশি নেওয়ার অভিযোগের প্রমান পাওয়ায় অভিযুক্ত এআই টেকনিশিয়ান পল্লি চিকিৎসক আব্দুল মান্নানকে জরিমানা করেছেন। সোমবার (২৫ মার্চ) ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চুয়াডাঙ্গার সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ এ জরিমানা করেন। কয়েকদিন আগে ক্ষতিগ্রস্ত খামারি আশাবুল হক পল্লী চিকিৎসক এআই টেকনিশিয়ান আব্দুল মান্নানকে অভিযুক্ত করে চুয়াডাঙ্গা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ জানান।
অভিযোগের ভিত্তিতে ২৫ মার্চ সোমবার সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ অভিযোগকারী খামারী ও অভিযুক্ত চিকিৎসককে তার দপ্তরে ডেকে নেন। অভিযোগের প্রমান পাওয়ায় ওই চিকিৎসককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুসারে দন্ডিত অর্থ থেকে পঁচিশ ভাগ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত খামারির হাতে তুলে দেন।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার জামজামি ইউনিয়নের বেগুয়ারখাল গ্রামের আশাবুল হক একজন খামারী। এবং এই খামারের উপর পরিবার অনেকাংশে নির্ভরশীল। খামারের একটি গাভীকে কৃত্রিম প্রজননের জন্য আশাবুল হক পশু চিকিৎসক আব্দুল মান্নান (এ.আই টেকনিশিয়ান)কে খামারে ডেকে নেন। আব্দুল মান্নান সেবামূল্য বাবদ তিন হাজার টাকা নেন। পরবর্তীতে গাভী গর্ভধারণ না করলে আবারও তাকে ডাকেন এবং তিনি পুনরায় দুই হাজার পাঁচশত টাকা নেন। তৃতীয়বারেও গাভী গর্ভধারন না করলে তিনি আবারও সেবামূল্য বাবদ এক হাজার পাঁচশত টাকা নেন। তিন বারই ব্রাহামা সিমেন দেওয়ার কথা বলে টাকা নেন কিন্তু বাচ্চা হয় শাহিওয়াল ক্রস। চিকিৎসক আব্দুল মান্নাননের এমন প্রতারনার ফলে খামারি আশাবুল হক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হন।
খামারি আশাবুল হক চিকিৎসক আব্দুল মান্নানের প্রতারনার এমন প্রসঙ্গ তুলে চুয়াডাঙ্গা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ জানান। এর প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটির সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ পক্ষে বিপক্ষের কথা শুনে চিকিৎসকের প্রতারনার বিষয়টি জানতে পারেন। এরপর অভিযুক্ত চিকিৎসককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইনে জরিমানার চার ভাগের এক ভাগ টাকা অভিযোগকারীর হাতে তুলে দেন।