আলমডাঙ্গায় কৃষি জমিতে পুকুর কেটে মাটি বিক্রয় করার ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
আলমডাঙ্গায় কৃষি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রয় করার অপরাধে জমি মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পোয়ামারি মাঠে কৃষি জমিতে খননকৃত পুকুরের নিকট উপস্থিত হলে মাটি ব্যবসায়ী রঞ্জু ও ভেকু ড্রাইভার গাড়ি রেখে পালিয়ে যায়। দীর্ঘ সময় পর জমির মালিক তার পুকুরের পাশে উপস্থিত হয়। পরে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এ জরিমানা করেন।
আদালত সুত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার ডাউকি ইউনিয়নের পোয়ামারি মাঠে কৃষি জমিতে পুকুর খননের নামে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রয় করা হচ্ছে। বেশ কিছুদিন ধরে উপজেলার কুমারী গ্রামের মাটি ও বালি ব্যবসায়ী রঞ্জু দীর্ঘদিন ধরে এলাকার বিভিন্ন গ্রামের সাধারন মানুষকে টাকা লোভ দেখিয়ে কৃষি জমিতে পুকুর খনন করে অবৈধভাবে মাটি বিক্রয় করে আসছে। বেশ কয়েক মাস আগে তাকে মাটি কাটার অপরাধে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত। এরপর সে নিজ গ্রাম এলাকা ছেড়ে পাশ^বর্তি ডাউকি ইউনিয়নের পোয়ামারি গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আমীর আলীর কৃষি জমিতে পুকুর কেটে সেই মাটি বিক্রয় শুরু করে রঞ্জু। মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ সাথে পোয়ামারি মাঠে পুকুরের নিকট উপস্থিত হন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপস্থিতির বিষয়টি জানতে পেরে ভেকু ড্রাইভার গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায়। দীর্ঘ সময় পর জমি মালিক সাবেক মেম্বার আমীর উপস্থিত হয়। আমীর মেম্বার মাটি কাটার কথা স্বীকার করে। পুকুর মালিক মাটি ব্যবসায়ী রঞ্জুকে কয়েকবার মোবাইল ফোনে ঘটনাস্থলে আসতে বললেও সে আসেনি। পুকুর মালিক উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কৃষি জমিতে পুকুর খননের বিষয়ে কোন আবেদনও করেননি। মাটি ব্যবসায়ী ও ভেকু ড্রাইভার উপস্থিত না হওয়ায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বালি মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে জমি মালিক আমীর হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। মাটি কাটা ভেকু মেশিনটি স্থানীয় ইউপি সদস্য দাউদ হাসান ঠান্ডুর দায়িত্বে জমা রাখা হয়েছে। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা কালে আলমডাঙ্গা থানার এএসআই মামুন অর রশিদ, ইউনিয়ন ভ‚মি সহকারি মতিয়ার মোল্লা উপস্থিত ছিলেন।