করোনার দু:সময়ে এগিয়ে আসা স্বেচ্ছাসেবী যুবক এখন নিজেই দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত
করোনার দু:সময়ে এগিয়ে আসা স্বেচ্ছাসেবী পরোপকারী যুবক এখন নিজেই দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে ভারতের হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। ব্যয়বহুল ক্যান্সার চিকিৎসায় নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সবকিছু শেষ হয়েছে ইতোমধ্যে। এখন সমাজের সহৃদয় ব্যক্তিদের সহযোগিতাই ভরসা।
করোনাকালীন স্বেচ্ছাসেবক ক্যান্সার আক্রান্ত এই যুবকের নাম সুজন আলী। সুজন আলমডাঙ্গার বিণোদপুরের আজব আলীর ছেলে। সুজন বিবাহিত। আড়াই মাসের এক মাসুম সন্তান রয়েছে তার। প্রাণ প্রাচুর্যে ভরপুর যুবক সুজন স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে যে কারো বিপদে ঝাপিয়ে পড়তেন। করোনার মত মহাবিপদও তাকে স্থিমিত করতে পারেনি। সচেতন মানুষ যখন চারদেওয়ালের বাইরে পা বাড়ায়নি, সে সময়ও সুজন বিপদবারণ হয়ে করোনা আক্রান্তদের পাশে ছিলেন। নিজের জীবনের পরোয়া করেন নি।
সেই প্রানোচ্ছ্বল যুবকের দেহের অভ্যন্তরে লোকচক্ষুর অন্তরালে মৃত্যু গেড়েছে বাসা। প্রায় ৮ মাস পূর্বে সুজন আলীর শরীরের ফুঁসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়ে। প্রথমে দেশেই চিকিৎসা করেন। নিজের সহায়সম্বল বিক্রি করে চিকিৎসা হন। এখানে চিকিৎসা নিয়ে উন্নত না হলে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। এখন কলকাতার এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সুজনের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার জন্য প্রায় ২০ লাখ রুপি প্রয়োজন। সমাজের সহৃদয় ব্যক্তিদের সহযোগিতা ছাড়া তার অসহায় পরিবারের পক্ষে এত বিপুল অংকের অর্থ জোগাড় করা অসম্ভব। অসহায় পরিবারের পক্ষ থেকে পরোপকারী সুজনের জীবন বাঁচাতে বিশেষ আর্তি জানানো হয়েছে।
সহযোগিতার জন্য সুজনের পারসোনাল বিকাশ ঃ ০১৭৪৩৫৩৪৮৬৫, রকেট ঃ ০১৮৫১১৮০৯৬৪, ও সুজনের নিজ নামে ডাচবাংলা ব্যাংক এ্যাকাউন্ট নং- ২৫১১০৫০০১৩১৪৫, আলমডাঙ্গা শাখা, চুয়াডাঙ্গা।