আলমডাঙ্গায় জন্মদাতা পিতার লালসার স্বীকার কিশোরী অন্তঃসত্তা
আলমডাঙ্গায় জন্মদাতা পিতার লালসার স্বীকার এক কিশোরী ৩মাসের অন্তঃসত্তা হয়ে পড়েছে। দিনের পর দিন পিতার লালসার স্বীকার হলেও প্রাণ হারানোর ভয়ে কাউকে জানাতে পারেনি সে। জঘন্য এই ঘটনার ধারাবাহিকতা রাখতে কিশোরীকে অন্যত্র বিয়েও দেয়া হয়। কিন্ত তিন মাসের অন্তঃসত্তা নববধুর শারীরিক গঠন শ্বশুরবাড়িতে সন্দেহের জন্ম দেয়। তখনই জঘন্য ঘটনার আদ্যপান্ত জানাজানি হয়ে পড়ে। এঘটনা ঘটেছে আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা গ্রামে। ঘটনা জানাজানি হলে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ অভিযুক্ত পিতা আলতাফ হোসেনকে আটক করেছে। ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে। কিশোরীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত আলতাফ হোসেন(৪৫) সাতক্ষীরা জেলার মুন্সিগঞ্জ গ্রামের মৃত সাদেক আলীর ছেলে। দীর্ঘদিন আগে আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা গ্রামের ইলিয়াস হোসেনের মেয়ে তাসলিমার সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আলতাফ হোসের শ^শুরবাড়ি চিৎলা গ্রামে বসবাস করে আসছে। আলতাফ হোসেন ও তাসলিমা দম্পত্তির দুই মেয়ে।
এলাকাবাসি জানায়, গত ২২ দিন পূর্বে আলতাফ হোসেনের কিশোরী মেয়েকে পার্শ্ববর্তি গাংনী ইউনিয়নের নান্দবার গ্রামের সজিব হোসেনের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের ২২ দিন পরই ওই কিশোরীর শারীরিক গঠনে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সন্দেহ হয়। পরে তারা কিশোরীকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান কিশোরী অন্তঃসত্তা। তারা ওই কিশোরীর কাছে জানতে চায় তার গর্ভের সন্তান কার? কিশোরী জানায় তার জন্মদাতা পিতা প্রায় ৩/৪ মাস ধরে তাকে ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আসছেন। তার মা বাড়িতে না থাকলে সেই সুযোগ নিয়ে তাকে তার পিতা ধর্ষণ করত। এরপর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে তার ধর্ষক পিতার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
গাংনী ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ দেলোয়ার জাহান ঝন্টু জানান, ৬ মার্চ রাতে ঘটনা জানাজানি হয়। ওই কিশোরীর নিকট ঘটনা জানতে চাইলে সে জানায়, তার পিতা তাকে জোরপূর্বক এ কাজ করেছে। পরে বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করি। রাতেই আসমানখালী ক্যাম্প পুলিশের এসআই নওশাদ আহমেদ ও এএসআই আলতাফ হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে চিৎলা গ্রাম থেকে অভিযুক্ত আলতাফ হোসেনকে আটক করে।
কিশোরীর মামা সম্রাট জানান, তার বোনের সাথে আলতাফের বিয়ে হওয়ার পর থেকে তাদের গ্রামেই তারা বসবাস করে আসছিল। তার বোন বাড়িতে না থাকলে আলতাফ হোসেন তার বড় মেয়েকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করতো। কয়েক মাস ধরে এ ধরণের কাজ করে আসছে। ভয়ে তারভাগ্নি কাউকে জানায়নি। গত বুধবারে শ্বশুরবাড়ির লোকজন ভাগ্নিকে নিয়ে আমাদের গ্রামে এলে ঘটনা জানাজানি হয়।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ গণি মিয়া জানান, ঘটনা জানার পরপরই অভিযুক্ত আলতাফ হোসেনকে আটক করা হয়েছে। ওই কিশোরীকেও উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।