মা-বাবার ডিভোর্সের কয়েকমাস পরই বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুর মৃত্যু
মা-বাবার ডিভোর্ভ হওয়ার কয়েকমাসের মাথায় নানার বাড়িতে মোবাইল ফোনে চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের ভোগাইলবগাদি গ্রামে নানা বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু মাইশা খাতুন(৭) মিরপুর উপজেলার আসাননগর গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে। সে ভোগাইল বগাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যায়ের ১য় শ্রেনীর ছাত্রী। পিতা সাইফুল ইসলাম ও মাতা পপি খাতুনের ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার পর নানা বাড়ি ভোগাইল বগাদী মায়ের সাথে থাকতো মাইশা।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের ভোগাইল বগাদি গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে পপি খাতুনের কয়েক বছর আগে কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার আসাননগর গ্রামের সাইফুলের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর সাইফুল ইসলাম ও পপি খাতুনের কোলে জন্ম নেয় মাইশা খাতুন। গত ৪ মাস আগে পারিবারিক কলোহের জেরধরে বাবা-মায়ের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। শিশু মাইশা তার মায়ের সাথে নানা বাড়িতেই থাকতো। ঘটনার দিন শিশু মাইশা খাতুন মোবাইলের চার্জার নিয়ে খেলা করছিল। মোবাইলের চার্জ শেষ হলে গেলে সে চার্জ দিতে যায়। চার্জ না হলে চার্জার মুখে নিয়ে কামড় দেয় মাইশা। তার চিৎসারে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে দ্রæত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষনা করে।
ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান বলেন, কয়েকমাস আগে শিশুটির বাবা-মায়ের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। তারপর থেকে শিশুটি তার মায়ের সাথে নানা শহিদুল হকের বাড়িতেই থাকতো। বৃহস্পতিবার সকালে শিশুটি মোবাইল চার্জ দিতে গেলে এঘটনা ঘটে। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে ডাক্তার মৃত বলে ঘোষনা করে।
সন্ধ্যায় ময়না তদন্ত শেষে শিশুটির পিতা সাইফুল ইসলাম মরাদেহ নিজ গ্রামে নিয়ে গেছে।