আলমডাঙ্গায় চোখের ডাক্তার না হয়েও চক্ষু রোগীদের ব্যবস্থাপত্র দেওয়ায় মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্টকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
আলমডাঙ্গায় চোখের ডাক্তার না হয়েও চক্ষু শিবিরে বসিয়ে রোগীদের ব্যবস্থাপত্র দেওয়ায় এক মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্টকে ভ্রাম্যমান আদালত ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন । বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এরশাদপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কুষ্টিয়া বি এম আই কেয়ারের চক্ষু শিবিরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার স্নিগ্ধা দাস।
জানা যায়, কুষ্টিয়া বটতৈল বাইপাস এলাকার বিএমআই কেয়ারের পরিচালনায় এরশাদপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ দিনের চক্ষু শিবিরের আয়োজন করে। শিবিরে রোগীদের ব্যবস্থাপত্র দিচ্ছিলেন মাগুরার বেসরকারি ইউনিল্যাব ম্যাটস থেকে পাস করা মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্ট মনজুরুল ইসলাম। তিনি চোখের কোন ডাক্তার নন। তিনি তার ব্যবস্থাপত্রের ব্যবহৃত সীলে ডা. মো: মনজুরুল ইসলাম (ডিএমএফ) নাম ব্যবহার করছিলেন। চক্ষু শিবিরে চোখের ডাক্তার না হয়েও চোখের ব্যবস্থাপত্র দেওয়ায় স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। খোঁজ নেওয়া হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.হাদী জিয়াউদ্দিন আহমেদ সাঈদের কাছে। তিনি চক্ষু শিবিরে উপস্থিত হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ঘটনাটি অবহিত করেন।
আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহি অফিসার স্নিগ্ধা দাস চক্ষু শিবিরে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্ট মাগুরা আলাইপুর গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে মনজুরুল ইসলামকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন। পরে মনজুরুল ইসলাম জরিমানার টাকা দিয়ে মুক্ত হন। ভ্রাম্যমান আদালতে আলমডাঙ্গা থানার এসআই আশিকুল হক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস বলেন, একজন মেডিকেল এ্যাসিস্ট্যান্ট তার নামের সাথে ডাক্তার যুক্ত করতে পারেন না। তিনি ব্যবস্থাপত্রও দিতে পারেন না। বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল ২০১০ আইনানুযায়ী তাকে জরিমানা করা হয়েছে।