ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা করায় উপজেলা পরিষদ চত্তরে প্রতিবাদ করেন ট্রাক্টর চালকরা
রাস্তায় নিয়মিত মাটি ফেলে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির দায়ে ভ্রাম্যমান আদালতে দুই ট্রাক্টর চালককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করায় উপজেলা চত্বরে প্রতিবাদ করেন ট্রাক্টর চালকরা। বুধবার দুপুরে ২০ থেকে ২৫ জন চালক তাদের ট্রাক্টর নিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসে প্রতিবাদে যোগ দেন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস চালকদের ডেকে নিয়ে তাদের সাথে কথা বললে তারা ভুল বুঝতে পেরে ফিরে যান। এ সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ আবিদুদ্দৌজা ক্যাবল, ওসি তদন্ত একরামুল হোসাইন ও জেহালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান শিলন উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, মাটি ব্যবসায়ীরা মাঠান জমির মাটি কেটে ট্রাক্টরে করে বিভিন্ন ইটভাটায় সরবরাহ করেন। এতে গ্রামের রাস্তাগুলোয় ট্রাক্টর থেকে মাটি পড়ে চরম জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। গ্রামবাসির মধ্যে তীব্র ক্ষোভও দেখা দেয়। এ প্রেক্ষিতে গত ২৯ জানুয়ারী জনদুর্ভোগ রোধে বেলগাছি ইউনিয়নের কেদারনগর গ্রামে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার ভুমি রেজওয়ানা নাহিদ। এসময় ঘটনাস্থল থেকে হারদী ইউনিয়নের কাটাভাঙ্গা গ্রামের ট্রাক্টর চালক শিশির ও হারদী গ্রামের শাকিব মাটিভর্তি ট্রাক্টর ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যান। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা নাহিদ ওই দুই ট্রাক্টর চালককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। তারা কেদারনগর মাঠ থেকে মাটি কেটে বিভিন্ন ইটভাটায় সরবরাহ করছিলেন। তারা ট্রাক্টরভর্তি মাটি নিয়ে কেদারনগর, কাশিপুর, ফরিদপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের কারণে রাস্তায় মাটি পড়ে জনদুর্ভগের সৃষ্টি হয়। এতে চরম জনভোগান্তিতে পড়ে এসব গ্রামের মানুষ। রাস্তার আশপাশের বাড়ি-ঘরে ধুলার স্তর পড়েছে। এছাড়া কেদারনগরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত ব্রীজটিও দিনভর মাটি বোঝাই গাড়ির চাপে ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিষেধও তারা কর্ণপাত করেনি।
সংবাদ পেয়ে আলমডাঙ্গা সহকারী কমিশনার ভুমি রেজওয়ানা নাহিদ কেদারনগর গ্রামে গিয়ে মাটি বোঝাই দুইটি ট্রাক্টরকে আটক করেন। এ সময় তিনি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে মাটি বোঝাই দুই গাড়ির দুই চালককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
ট্রাক্টর চালক সাহাবুল হক বলেন,আমরা ভাড়ায় ট্রাক্টর চালায়। জরিমানা করলে মাটি ব্যবসায়ীদের করা দরকার।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস বলেন, কিছুতেই জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা যাবে না। রাস্তায় মাটি ফেলে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা হলে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে।