আলমডাঙ্গায় অসুস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধা এম সবেদ আলীর বাড়িতে এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার
জেলা জাসদের(ইনু) আহবায়ক ও আলমডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অসুস্থ এম সবেদ আলীকে দেখতে গিয়েছিলেন চুয়াডাঙ্গা ১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। গতকাল ১৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি এম সবেদ আলীর গোবিন্দপুরস্থ বাড়িতে গিয়েছিলেন। এ সময় তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম সবেদ আলীর শারীরিক ও চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। সহমর্মিতা প্রকাশ করেন।
অন্যান্যের মধ্যে এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও চুয়াডাঙ্গা পৌর সভার সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাবেক বন ও পরিবেশ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু মুছা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহসভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা, পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সাইফুর রহমান পিন্টু, দপ্তর সম্পাদক মাসুদ সালেহীন উৎপল, পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক সাবেক কাউন্সিলর জাহিদুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড পরিষদের উপজেলা সভাপতি নেছার আহমেদ প্রিন্স, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশরাফুল হক, যুবলীগ নেতা পাপন রহমান, রাকিব আহমেদ রকি, শুভ, কালু, জাহাঙ্গীর, ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল সাকিব, তানজিম, রাজু, প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত ১১ জানুয়ারি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম সবেদ আলী ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। ইতোপূর্বেও তিনি আরেকবার স্ট্রোক করেন। তিনি অসুস্থ হলে পড়লে কুষ্টিয়া সনো টাওয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে পরে ঢাকা নিউরো সাইন্স হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সে সময় তাঁর মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধে ছিল। এম সবেদ আলী অল্প বয়সে ছাত্রাবস্থায় '৭১- এ মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে বীরত্বের সাথে পাক বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে লড়াই করেন। তিনি স্বাধীনতা পরবর্তীতে গঠিত হওয়া রাজনৈতিক দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল - জাসদে যোগ দেন। তিনি আলমডাঙ্গা পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি পৌরসভা, উপজেলা ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও অংশ নেন। তিনি আলমডাঙ্গা উপজেলা লোকমোর্চার সভাপতি হিসেবেও বেশ কয়েক বছর দায়িত্ব পালন করছেন। তাছাড়া, নিজের নামে গ্রামে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। ওই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিও তিনি। তিনি আপাদমস্তক একজন প্রতিবাদী ও প্রগতিশীল ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত।