১৩ গ্রামের মন্ডল প্রধানদের খানা দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মন্ডলী নিলেন আলমডাঙ্গা রোয়াকুলি গ্রামের মতিয়ার রহমান
১৩ গ্রামের মন্ডল প্রধানদের খানা দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মন্ডলী নিলেন আলমডাঙ্গা রোয়াকুলি গ্রামের মতিয়ার রহমান। ২৪ ডিসেম্বর ১৩ গ্রামের মন্ডল প্রধানদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে মতিয়ার রহমানকে মাথায় মন্ডলী গামছার পাগড়ী পরিয়ে মন্ডল হিসেবে স্বীকৃতি দেন।
রোয়াকুলি গ্রামের ভারীয় মন্ডল প্রধান রেজাউর রহিমের সভাপতিত্বে মন্ডলী প্রধান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ৫ গ্রামের মন্ডল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাবেক পৌর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম সবেদ আলী। এসময় তিনি বলেন এসময় তিনি বলেন, এখানে ১৩ গ্রামের প্রধানসহ সব ধরনের মন্ডল এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছেন। আপনারা চাইলে আপনাদের ১৩টি গ্রামকে উপজেলার মধ্যে বাল্য বিয়ে, মাদক, দুর্নীতি ও অনিয়মমুক্ত গ্রাম গড়ে তুলতে পারেন। সামাজিক অনাচার ও দুর্নীতিতে প্রশ্রয় না দিলেই সমাজ সুন্দর হবে। নিজের স্বার্থ না দেখে সমাজের স্বার্থ, দেশের স্বার্থকে সবার আগে বিবেচনা করতে হবে। তাহলে ব্যক্তি জীবনেও কল্যাণ হবে। সামাজিক ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে মন্ডলরা বড় ভূমিকা রাখতে পারে। সালিশ বৈঠকে নিরোপেক্ষ থাকলে মন্ডলদের প্রতি সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা ও আস্থা বাড়বে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন গোবিন্দপুর গ্রামের মন্ডল প্রধান সাবেক ব্যাংকার সিরাজুল ইসলাম, ফরিদপুর গ্রামের এমদাদুল হক ঝন্টু, রিকাত আলী, রোয়াকুলি গ্রামের সেকেন্দার আলী, সাবেক ব্যাংকার রাজাবুল হক, মাদারহুদা গ্রামের সাইফুল ইসলাম, এনায়েতপুর গ্রামের খাইরুল ইসলাম । গোবিন্দপুর গ্রামের মন্ডল প্রধান ডা. সামসুজ্জোহা সাবু উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন আনন্দবাস গ্রামের নুর ইসলাম, গোপালনগর গ্রামের কলিম উদ্দিন, রোয়াকুলি গ্রামের আলতাফ আলী মালিথা, পারদূর্গাপুর গ্রামের আব্দুল হক, দূর্গাপুর গ্রামের গোলাম রসুল, নওদাবন্ডবিল গ্রামের হক সেলিম, ডামোশ গ্রামের ঝান্টু, বাড়াদি গ্রামের আবু সিদ্দিক, রোয়াকুলি গ্রামের এএইচএম রওশন কামাল, সিরাজুদ্দৌলা, লিটন মালিথা, এএইচএম ইকবাল আলম, মিজানুর রহমান রানাসহ ১৩ গ্রামের ২শ ৯৪জন মন্ডল প্রধান ও মন্ডলগণ।
অনুষ্ঠানে শেষে মতিয়ার রহমানকে মাথায় মন্ডলী গামছার পাগড়ী পরিয়ে মন্ডল হিসেবে স্বীকৃতি দেন ৫ গ্রামের মন্ডল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাবেক পৌর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম সবেদ আলী। শপথবাক্য পাঠ করান ডা. সামসুজ্জোহা সাবু।