১৪ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলমডাঙ্গা পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং সুপেয় পানি সাপ্লাইয়ের কাজ নিয়ে জনসাধারনের নানা প্রশ্ন

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
ডিসেম্বর ৩, ২০২৩
112
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

আলমডাঙ্গা পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং অতিসম্প্রতি শুরু হওয়া সুপেয় পানি সাপ্লাইয়ের সংযোগ হাউজের(সুইজ ভাল্ব) উপর স্ল্যাব না থাকায় মানুষের চলাচল ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। মানুষের চলাচলের ব্যস্ত এলাকার ড্রেনের উপর কোথাও স্ল্যাব আছে আবার কোথাও রয়েছে ভাঙ্গা। এতে প্রায় সময়ই পথচারীরা বিপতে পড়ছেন। স্ল্যাব না থাকায় কারণে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। ড্রেন ও পানির সংযোগ হাউজে পড়ে আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে।


শনিবার দুপুরে আলমডাঙ্গা কলেজপাড়ার বাসিন্দা পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত সদস্য মতিয়ার রহমান তার চার বছর বয়সি নাতনি মুনতাহাকে নিয়ে বাজারে আসছিলেন। চাতাল মোড় থেকে গোবিন্দপুর যাওয়ার সড়কে যেতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্মিত পানির সাপ্লাইয়ের সংযোগ হাউজে (সুইজ ভাল্ব) পড়ে যায় মতিয়ার রহমানের নাতনি মুনতাহা। পরে স্থানীরা মুনতাহাকে টেনে উপরে তোলেন। সে হাউজে পড়ে গেলেও অল্পের জন্য বড় বিপদ থেকে রক্ষা পায়।


গত ৫ জুলাই সন্ধ্যায় বাড়ির সামনের স্ল্যাববিহীন ড্রেনে পড়ে কলেজপাড়ার ব্যবসায়ী রোকনুজ্জামানের শিশু কন্যা সামিয়ার মৃত্যু হয়। এ মৃত্যু ঘটনার পর ওই অঞ্চলের ড্রেনে ¯øাবের ব্যবস্থা করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। তার আগেই সামিয়ার মৃত্যুতে অপূরণীয় ক্ষতি হয় রোকনুজ্জামনের পরিবারে।


প্রত্যক্ষদর্শি সাজ্জাদুল ইসলাম খান স্বপন জানান, আলমডাঙ্গা প্রথম শ্রেনীর পৌরসভা। এই পৌর সভায় নাগরিকরা সব থেকে অবহেলিত। দীর্ঘ দিন আগে পানি নিস্কাশনের ড্রেন ও সুপিয় পানি জন্য পাইপ লাইনের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু এখনো শেষ হয়নি। কয়েকমাস আগে কলেজপাড়া ঢাকনা বিহীন ড্রেনে পড়ে একটি শিশুর মৃত্যু হওয়ার পর সেখানে ঢাকনা দিয়েছে। শহরের ড্রেনের উপর দিয়ে মানুষ চলাফেরা করতে ভয় পায়। না জানি কখন ¯ø্যাব ভেঙ্গে ড্রেনের ভেতরে পড়ে যায়। পানির লাইনে পাইপের সংযোগ স্থানে হাউজ করেছে শহরের বেশ কয়েক যায়গায়। ঢাকনার জন্য ¯ø্যাব নিয়ে রাখলেও অনেক জায়গায় হাউজের মুখে সঠিক ভাবে দেওয়া নেই। বাচ্চাটি পানির লাইনের হাউজে পড়ে যাওয়ার সাথে সাথে টেরপাওয়ায় রক্ষা পেয়েছে।


প্রত্যক্ষদর্শি আব্দুল হান্নান মাস্টার বলেন, পানির লাইনের কাজ শেষে হাউজের মুখে ¯ø্যাব দিয়ে দেওয়ার কথা। কিন্তু তারা দায় সারা ভাবে ¯ø্যাব হাউসের উপর রেখে চলে গেলে। হাউজের ভেতরের পাইপ লাইনের সংযোগে লোহার স্টায়ারিং দেওয়া। বাচ্চাটি স্টায়ারিংয়ের উপর পড়লে অনেক বড় ক্ষতি হতে পারতো।


উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারি প্রকৌশলী মো: হাসিবুজ্জামান বলেন, আলমডাঙ্গা পৌর সভার প্রতিটি সুইজ ভাল্বে উপর ঢাকনা দেওয়া আছে। কিভাবে ঢাকনা সরে গেছে সেটা আমাদের জানা নেই।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram