চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধারে আবারও আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের সফলতা
আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধারে আবারও সফলতা দেখিয়েছে। গত মাসে একরাতে ৬ টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধারের পর শনিবার রাতভর অভিযান চালিয়ে আরও ৪ টি মোটরসাইকেল উদ্ধারসহ চোর সিন্ডিকেটের ৪ সদস্যকেও আটক করে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ। ক'দিনের ব্যবধানে মোট ১০ টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ এই সফলতা দেখালো।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধারে মাঠে থাকা পুলিশ জানতে পারে- আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জের সোনাতনপুর হাসপাতাল মোড়ে মোটরসাইকেল চোরচক্রের এক সদস্য মোটরসাইকেল কেনাবেচা করার জন্য অবস্থান করছে। অবস্থান সনাক্ত করে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথের নির্দেশে আলমডাঙ্গা থানার এসআই আমিনুল হক ও এএসআই হামিদুল ইসলাম মুন্সিগঞ্জে পৌঁছান। তাদের সাথে যোগ দেন মুন্সিগঞ্জ ক্যাম্পের আইসি ইউসুফ আলী, এএসআই ইকবাল হোসেন, মেহেদী হাসান ও মোখলেছুর রহমান। তারা অভিযান চালিয়ে সোনাতনপুর মোড় থেকে চোর সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য হৃদয়কে ইয়ামাহা ফিজার মোটরসাইকেলসহ গ্রেফতার করেন। হৃদয়কে গ্রেফতারের পর আরও চোরাই মোটরসাইকেলের সন্ধান পায় পুলিশ।
হৃদয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে মোটরসাইকেল চোরচক্র সিন্ডিকেটের মূল আস্তানা চুয়াডাঙ্গার জীবননগর। পুলিশের আভিযানিক টিম গভীর রাতে জীবননগরে হানা দেয়। জীবননগরের করিমপুর গ্রামে হানা দিয়ে রুবেল নামের আরেক সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার কাছ থেকে নম্বরবিহীন একটি হিরো হোন্ডা ও একটি ডায়াং মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। রুবেলও পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আরও দুই চোরের ঠিকানা দেয়। তার তথ্যানুযায়ী অপর চোর তাকবির হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। তাকবির বাড়িতেই ছিল। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পুলিশ টিমের সাথে চোর রুবেলকে দেখতে পেয়ে তাকবির বিনা বাক্য ব্যয়ে তার কাছে থাকা চোরাই হিরো হোন্ডা সিডি মোটরসাইকেলটি পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এরপর পুলিশ রুবেল ও তাকবিরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে তাদের অপর সহযোগী সানির নাম। আরও জানতে পারে সানির কাছেও একটি চোরাই মোটরসাইকেল আছে। এরপর পুলিশ রুবেল ও তাকবিরকে সঙ্গে নিয়ে সানির বাড়িতে অভিযান চালায়। সানিকে গ্রেফতারের পর তার কাছে থাকা ডিসকাভার ১০০ সিসি একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশ।
অভিযানে গ্রেফতার আসামিরা হল দর্শনার গবরগাড়া গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে হৃদয় হোসেন(১৯), জীবননগর উপজেলার করিমপুর গ্রামের কালু মন্ডলের ছেলে রুবেল হোসেন(২৪), একই উপজেলার নতুনপাড়ার রহিদুল ইসলামের ছেলে তাকবির হোসেন(২৮) ও পেয়ারাতলার মৃত আলম মাতুবাবরের ছেলে সানি হোসেন(৩৫)। গ্রেফতারকৃত আসামীদের নামে মুন্সিগঞ্জ ক্যাম্পের এসআই ইউসুফ আলী বাদি হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। গতকালই তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।