৫ম স্বামীর কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ৪র্থ স্বামীর ঘরে ফিরে গেলেন যুবতী
৫ম স্বামীর কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ৪র্থ স্বামীর ঘরে ফিরে গেলেন রোকেয়া খাতুন নামের এক যুবতী। সর্বস্ব্র হারিয়ে অনন্যোপায় পঞ্চম স্বামী দারস্থ হলেন থানায়। অভিযুক্ত রোকেয়া খাতুনের বাপের বাড়ি আলমডাঙ্গা উপজেলার নওলামারী গ্রামে।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলার নওলামারী গ্রামের বিবাহিত সুন্দরী যুবতী রোকেয়া খাতুনকে পছন্দ করে গোপনে বিয়ে করেন বেগোয়ারখাল গ্রামের রাশিদুল নামের দুই সন্তানের জনক। বিয়ের পর নানা বাহানা ও ছোট ভাইকে বিদেশ পাঠানোর কথা বলে রোকেয়া রাশিদুলের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। জমি বিক্রি করে পরিবারের অগোচরে রাশিদুল রোকেয়ার হাতে মোটা অংকের টাকা তুলে দেন। এত করেও মন পাননি সুন্দরী রোকেয়ার। তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেবার পর তিনি পঞ্চম স্বামীর ঘর ত্যাগ করে আবার চতুর্থ স্বামী রাজুর সংসারে ফিরে গেছেন।
জানা গেছে, নওলামারী গ্রামের দরিদ্র ওয়াজেদ আলীর সুন্দরী মেয়ে রোকেয়া খাতুন (২৩)। তিনি নিজ গ্রামের মাদ্রাসায় পড়ার সময় ওই মাদ্রাসার তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির সদস্য একই গ্রামের কলম আলীর সাথে বিয়ে করেন। কিশোরী রোকেয়ার সে বিয়ে বেশিদিন টেকেনি। বিচ্ছেদের কিছুদিন পর আবার তার সাথে বিয়ে করেন। পরে ছাড়াছাড়ি হলে মোবাইল ফোনে প্রেমের পর দর্শনার সুমনের সাথে বিয়ে হয়। তাদের ছাড়াছাড়ি হলে ঢাকায় গিয়ে রোকেয়া গার্মেন্টে রাকরি নেন। সেখানে পরিচয়ের পর মানিকগঞ্জের রাজু নামের এক যুবকের সাথে বিয়ে করেন। বিয়ের পর স্ব্রভাবসুলভভাবে সুন্দরী রোকেয়া এবার নিজ এলাকার বেগোয়ারখাল গ্রামের দুই সন্তানের জনক রাশিদুলের সাথে বিয়ে করেন।
প্রথম স্বামী কলম আলী জানান, রোকেয়া নিজের রূপকে কাজে লাগিয়ে প্রেম ও বিয়ের ফাঁদে ফেলে বহু যুবককে সর্বশান্ত করেছে। ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ায় তার উদ্দেশ্য।
সর্বশান্ত রাশিদুল নিরুপায় হয়ে সম্প্রতি আলমডাঙ্গা থানায় অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে থানা পুলিশ আগামী শুক্রবার দুই পক্ষকে উপস্থিত থাকতে বলেছেন বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, রোকেয়া অস্বীকার করেছেন রাশিদুলের সাথে বিয়ের বিষয়টি। তিনি বলেন, আগামী শুক্রবার থানায় পুলিশ ডেকেছে। মিটিয়ে ফেলবো।
এদিকে, রোকেয়া খাতুনের বিয়ে বাণিজ্যের খবর এলাকায় রসাত্বক আলোচনার খোরাকে পরিমত হয়েছে। ২৩ বছরেই পাঁচ বিয়ের গর্বিত সুন্দরী হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছেন তিনি। নিজ গ্রামে রোকেয়ার বিরুদ্ধে নানা মুখরোচক ওপ নেতিবাচক মন্তব্য শোনা যায়।