দোকান কর্মচারী মোস্তফা হত্যাকান্ডের ঘটনায় এজাহার নামীয় দুআসামী গ্রেফতার
দোকান কর্মচারী মোস্তফার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এজাহার নামীয় আসামি দোকান মালিক জাহাঙ্গীর ও তার সহোদর সজিবকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। সাথে আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদনও করেছে।
এখনও এ হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচিত হয়নি।
জানা যায়, আলমডাঙ্গার মোড়ভাঙ্গা গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে গোলাম মোস্তফা ১০ বছর ধরে হাটবোয়ালিয়া বাজারের জননী ষ্টোরের কর্মচারী ছিলেন। গত ১৪ আগস্ট রাত ৯টার দিকে দোকান থেকে গোলাম মোস্তফা বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হন। ওই রাতেই হাটবোয়ালিয়ার পাশ দিয়ে বয়ে চলা মাথাভাঙ্গা নদীর নির্মানাধীন ব্রিজের নিকট থেকে কর্মচারীর মোবাইল ফোন ও সাইকেল উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজের পর থেকেই মোস্তফার পরিবার দোকান মালিক জাহাঙ্গীর ও তার ভাই সজিবের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙ্গুল তুলে আসছিলেন।
নিখোঁজের ১১ দিন পর যুবকের অর্ধগলিত লাশ ভেসে ওঠে মাথাভাঙ্গা নদীতে। ২৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে বাঁশবাড়িয়া ফেরীঘাট এলাকার মাথাভাঙ্গা নদীতে নিখোঁজ যুবক মোস্তফার লাশ ভেসে উঠতে দেখেন স্থানীয়রা।
লাশ উদ্ধারের দিনগত রাতে নিহত মোস্তফার মা বাদী হয়ে দোকান মালিক ও তার ভাইকে আসামি করে থানায় এজাহার দায়ের করেন। এ এজাহারের ভিত্তিতে পুলিশ আসামি জাহাঙ্গীর ও সজিবকে গ্রেফতার করেছে। গতকাল তাদেরকে সংশ্লিষ্ট মামলায় জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। সেই সাথে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
তবে, লাশ উদ্ধারের ২ দিন অতিবাহিত হলেও দোকান কর্মচারীর হত্যা রহস্য উন্মোচিত হয়নি।
আলমডাঙ্গা থানার ওসি বিপ্লব কুমার নাথ জানান, গ্রেফতারের পর দু ভাইকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিজেদেরকে বাঁচিয়ে কিছু তথ্য দিয়েছেন। সেগুলি যাচাইবাচাই করা হচ্ছে।
নিহত মোস্তফার বড় ভাই রাকিব হোসেন জানান, হাটবোয়ালিয়া বাজারের জননী স্টোরের মালিক জাহাঙ্গীরের দোকানে কর্মচারী হিসেবে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে মোস্তফা কাজ করে আসছিল। দোকান মালিক জাহাঙ্গীরের ছোট ভাই সজিব দোকান থেকে নিয়মিত টাকা চুরি করতো। টাকা চুরির ঘটনা মোস্তফা দোকান মালিক জাহাঙ্গীরকে জানিয়ে দিলে সজিবের সাথে তার মতদ্বদ্ব দেখা দেয়। টাকা চুরির বিষয় নিয়ে মাঝে মাঝে মতদ্বদ্বর কারণে মোস্তফা দোকানে না আসলে জাহাঙ্গীর বাড়িতে গিয়ে তাকে নিয়ে আসতো। এ নিয়ে নিখোঁজের ক'দিন আগে সজিব মোস্তফাকে মারধরও করে।