আলমডাঙ্গায় নিজ জমিতে বাড়ি করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ
আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার থানাপাড়ায় নিজের জমিতে বাড়ি করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন দপ্তরে নামে-বেনামে মিথ্যে তথ্য দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ তুলেছেন আসাদুল ইসলাম।
লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন, গত ২৫ বছর পূর্বে দুই দাগে ৮ শতক ৫৬ পয়েন্ট জমি ক্রয় করেন। ওই জমির ৪৮৩৪ নং দাগে ৬ শতক ও ৪৮৩১ নং দাগে ২ শতক ৫৬ পয়েন্ট জমি রয়েছে। ওই জমিতে তিনি বাড়ি নির্মাণ করে দীর্ঘদিন বসবাস করে আসছেন। আসাদুল ইসলামের ক্রয়কৃত জমির পাশেই সরকারি (এপি) সম্পত্তির ৪৭৯৫ নং দাগে ১১শতক ৩১ পয়েন্ট জমি রয়েছে। ওই জমি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক (ডিসি) তিনজনকে লিজপ্রদান করেছেন। ৪৭৯৫ নং আরএস দাগের ওই জমির ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান মিজু ৫ শতক ৩১ পয়েন্ট ও রিজু আহমেদ ৫ শতক এবং রাশিদা খানম ১ শতক জমি ভোগদখল করছেন। বর্তমানে মিজু ও রিজু বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছেন এবং রাশিদা খানমের ১ শতক জমিতে ফলজ বাগান রয়েছে।
এদিকে, আসাদুল ইসলাম ৪৮৩৪ ও ৪৮৩১ নং দাগের জমিতে পূর্বের বাড়ি ভেঙে নতুন বাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু করেন। নির্মাণ কাজ চলাকালীন কিছু কুচক্রী চুয়াডাঙ্গা গণপূর্ত বিভাগে নামে-বেনামে মিথ্যে অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে গণপূর্ত বিভাগ আলমডাঙ্গা পৌরসভা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)র নিকট অনুলিপি দেওয়ার প্রেক্ষিতে নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন। গণপূর্ত বিভাগের নির্দেশনায় কাজ বন্ধ রাখেন ভুক্তভোগী আসাদুল ইসলাম। ৪৮৩৪ নং নিজ দাগে এপির ৪৭৯৫ নং দাগে ভুলক্রমে ম্যাপে তার নিজ দাগের ম্যাপে যুক্ত হয়েছে আনুমানিক ১ শতাংশের উর্ধে। এবিষয়ে ম্যাপ সংশোধনী মামলা চুয়াডাঙ্গা দেওয়ানী আদালতে চলমান রয়েছে।
আসাদুল ইসলাম আরো জানান, কিছু-কুচক্রী নামে-বেনামে বিভিন্ন দফতরে লিখিত মিথ্যা অভিযোগের মাধ্যমে হয়রানি করে চলেছেন। এবিষয় সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।