আলমডাঙ্গায় ক্রয়কৃত জমিতে বাড়ি করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ তুলে সংবাদিক সম্মেলন
আলমডাঙ্গা থানাপাড়ায় ক্রয়কৃত সম্পত্তির ওপর বাড়ি করতে গিয়ে কতিপয় প্রতিবেশীর হয়রানীর শিকার হওয়ার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আসাদুল হক। ২ আগস্ট বুধবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আসাদুল হক বলেন, তার স্ত্রী মোছাঃ রাশেদা খানমের নামে আনুমানিক ২৫ বছর আগে রওশন আলী ও বাবুর কাছ থেকে থানাপাড়ায় দুই দাগে একতলা বাড়িসহ ৮ শতক ৫৬ পয়েন্ট জমি ক্রয় করেন।
৭২ নং গোবিন্দপুর মৌজায় ১ নং ওয়ার্ডের থানাপাড়ায় অবস্থিত সিএস ১৮১০ এবং ৪৭৩৭ দাগে ৬ শতক ওই ৩৮৩১ দাগে ২ শতক ৫৬ পয়েন্টসহ দুই দাগে মোট ৮ শতক ৫৬ পয়েন্ট জমি। জমিসহ ক্রয়কৃত বাড়িতে তারা পঁচিশ বছর ধরে বসবাস করে আসছেন। সম্প্রতি একতলা ভেঙে জমিটিতে ৬ তলা বিশিষ্ট একটি বাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। এ লক্ষ্যে আলমডাঙ্গা পৌরসভায় বাড়ির নকশা অনুমোদনের আবেদনও করেছেন।
তিনি জানান, বাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু করার পরপরই সরকারি জমিতে বসবাস করতে থাকা প্রতিবেশী মিজানুর রহমান ও রিজু আহমেদ তার (আসাদুল) ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় মিথ্যারচার ছড়িয়ে বেড়াতে শুরু করে। তারা বলে বেড়ায় তিনি ( আসাদুল) সরকারি জমিতে নাকি বাড়ি নির্মাণ করেছেন।
তিনি জানান, যে জমির বিষয়ে তারা অভিযোগ করছেন সেটি আসাদুলের বাড়ির পিছনে । ১১ শতক ৩১ পয়েন্ট সরকারি এপি সেই সম্পত্তির মধ্যে মিজানুর রহমান ৫ শতক ৩১ পয়েন্ট, রিজু আহমেদ ৫ শতক ও আসাদুলের স্ত্রী রাশেদার খানমের নামে ১ শতক লীজ নেওয়া। তারা সরকারি ওই এপি সম্পত্তি অনেক আগে থেকেই ভোগদখল করে আসছেন। আসাদুলের ক্রয়কৃত নিজ বাড়ির পূর্বদিকে ১ শতক সরকারি এপি সম্পত্তিতে বাগান রয়েছে। তিনি এপি সম্পত্তিতে বাড়ি নির্মাণ করছেন না বলে দাবি করেছেন।
আসাদুল হক বলেন, কেবলমাত্র হিংসার বশবর্তী হয়ে একটি কুচক্রিমহল তার ও তার পরিবারকে সামাজিকভাবে হয়রানি করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি জানান, এ অবস্থায় প্রতিপক্ষরা আলমডাঙ্গা ভুমি অফিসে অভিযোগ দেন। ভুমি অফিসের কর্মকর্তারা একাধিকবার সার্ভেয়ারসহ ঘটনাস্থল মাপজোক করে প্রতিপক্ষদের এপি সম্পত্তি বুঝিয়ে দিয়ে যান। উল্লেখিত ১১৩১ দাগের জমিতে তিনি কোন বসতবাড়ি করছেন না বলে উল্লেখ করেন।
তিনি জানান, তিনি নিজ উদ্যোগে চার দফা আমিন ডেকে মাপজোক করে নিজের জমি বুঝে নিয়েছেন। তৃতীড দফায় এসপি মহোদয়, পৌর মেয়র মহোদয় ও ওসি মহোদয়ের অনুমতিক্রমে খুলনা থেকে আমিন এনে মাপজোক করে প্রতিপক্ষদের জমি বুঝিয়ে দিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, এপি'র ১১ শতক ৩১ পয়েন্ট দাগের সম্পত্তির দলিল ও রেকর্ড থাকা সত্বেও ভুলক্রমে তার ৬ শতক জমির মধ্যে ম্যাপ কাটা পড়ে। ওই ম্যাপে আনুমানিক ১ শতক ১০ পয়েন্ট জমি ম্যাপে ওঠে। সে কারণে তিনি ম্যাপ সংশোধনের জন্য আদালতে আবেদন করেছেন।
তিনি আরও বলেন, তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বাড়ির একতলার ঢালাই সম্পন্ন হওয়ার পরও বিতর্ক এড়াতে এসি ল্যান্ড মহোদয়ের নির্দেশে বাড়ির কাজ আপাতত বন্ধ রেখেছেন।
তিনি সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের নিকট ভোগান্তির নিরসন ও ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেছেন।