স্মার্ট কৃষি ব্যবস্থা করতে চাইলে, স্মার্ট প্রযুক্তি গ্রহন করতে হবে-জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা
আলমডাঙ্গায় ২০২২-২৩ অর্থবছরের খরিপ-২ ও ২০২৩-২৪ মৌসুমে কুষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কৃষি যন্ত্রপাতির সহায়তায় সমালয়ে চাষাবাদের আমন ধানের চারা রোপণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। ৩০ জুলাই রবিবার বিকেলে ভোদুয়া গ্রামের মাঠে ১শ ৫০ জন কৃষকের ১শ ৫০ বিঘা জমিতে আমন ধানের চারা রাইস ট্রান্সপ্লান্টারে মাধ্যমে রোপণ করা হয়। এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলার নবাগত জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা।
এসময় তিনি বলেন, বৃষ্টি হচ্ছে আল্লাহর নেয়ামত। এতে ফসল ভালো হয়। অনেকে বলেন, কৃষকরা সোনা ফলায়। আমি বলি সোনার চেয়েও বেশি। সোনা ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে। কিন্তু খাদ্য ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না। সেই খাদ্য কৃষকরা যোগান দেন। কৃষকদেরকে সালাম। কৃষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, জাপানিজরা খাবারের আগে খাদ্য প্রস্তুতকারী কৃষকের প্রসংশা করে খেতে বসেন। আমরাও কৃষকদের কাছে চিরঋণী। তাদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। প্রতি একর জমিতে ১ ঘন্টার ধানের চারা রোপন করা যায়। এতে অল্প সময়ে বেশি পরিমানের জমি চাষাবাদের আওতায় আনতে পারি। খরচ অনেক কম হয়। যান্ত্রিকীকরণের বহু সুবিধা রয়েছে। আমরা স্মার্ট কৃষি ব্যবস্থা যদি করতে চায়, তাহলে আমাদের এই স্মার্ট প্রযুক্তি গ্রহণ করতে হবে। আপনারা আপনার উর্বর ভূমির সদ্ব ব্যবহার করবেন।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ বিভাস চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন, সহকারী কমিশনার ভূমি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজওয়ানা নাহিদ, চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক কায়সার ইকবাল, সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত উপজেলা কৃষি অফিসার রেহানা পারভীন, ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ার হোসেন পালোয়ান।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসার হোসেন শহীদ সোহরওয়ার্দী।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সোহেল রানার উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন কৃষক বকুল হোসেন, সোহেল, জহুরুল, রানা, শরিফুল, বিউটি খাতুন, তানিয়া খাতুন, জেসমিন খাতুন, ইউপি সদস্য লিপি খাতুন, ববিতা খাতুন, উপসহকারি কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মতি রনি, আশরাফুল আলম, আব্দুর রফিক, জাহিদুল ইসলাম, খালিদ সাইফুল্লাহ, পাপিয়া খাতুন, রতœা খাতুন, শাকিলা পারভিন, শাহিনুর ইসলাম বীন সাঈদ প্রমুখ।
কৃষক বকুল বলেন, আমরা সারাজীবন হাত দিয়ে ধানের চারা লাগিয়েছি। প্রতি একর জমিতে ধানের চারা লাগাতে ১৫ থেকে ২০জন শ্রমিক লাগে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার কৃষিকে আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে আরো সহজ করে নিয়ে এসেছে। এখন এক একর জমিতে ধানের চারা লাগাতে অল্প সময় লাগে। আর খরচও অনেক কম হয়। এই মেশিন দিয়ে ধান লাগাতে পেরে ভোদুয়া গ্রামের কৃষকরা খুব খুশি হয়েছে বলে মন্তব্য করা হয়।
২০২৩-২৪ অর্থ বছরেরর কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে প্রায় ১শ ৫০ জন কৃষকের বীজতলা তৈরি, ধানের বীজ প্রদান, চারা তৈরি, ধানের রোপণ, সারসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ প্রদান করা হয়।