আলমডাঙ্গায় আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর আত্মহত্যা
আলমডাঙ্গায় আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। ১৮ জুলাই মঙ্গলবার ভোররাতে নিজ ঘরের আড়াই উড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। এঘটনাটি ঘটেছে পৌর এলাকার এরশাদপুর গ্রামে । এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছে।
নিহত গৃহবধূ সোনিয়া খাতুন (২৫) এলাকার এরশাদপুর গ্রামের টিটুর স্ত্রী। উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রামের ইমান আলীর মেয়ে।
এলাকাবাসী জানায়, পৌর এলাকার এরশাদপুর গ্রামের হবি উদ্দিনের ছেলে টিটুর সাথে দুই বছর আগে সোনিয়া খাতুনের বিয়ে হয় । বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সাথে সোনিয়ার মনোমালিন্য চলে আসছিল।
মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫ টায় টিটু তার স্ত্রীকে ঘরে রেখে বাড়ির পাশে মুরগী খামারে যান। বাড়িতে এসে সোনিয়াকে ডাকতে গেলে সে দরজা বন্ধ পায়। এসময় টিটু প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় ঘরে দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে দেখতে পায় সোনিয়া খাতুন উড়না দিয়ে আড়াই ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে।
নিহতের স্বামী টিটু বলেন, সকালে মুরগী খামারে পানি দিতে যায়। ফিরে এসে ঘর বন্ধ দেখতে পাই। প্রতিবেশীদের সহযোগীতায় ঘরের দরজা ভেঙে সোনিয়া খাতুনকে উড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখি। তার স্ত্রী সোনিয়া খাতুন ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
নিহত সোনিয়ার পিতা অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। আমার মেয়েকে পরিকল্পিকভাবে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে দাবি করছে। তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করে তিনি মেয়ের লাশের ময়না তদন্ত শেষে নিজ গ্রাম হাকিমপুর নিয়ে দাফন করবেন বলে জানান।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথ জানান, এরশাদপুর গ্রামে এক গৃহবধু গলায় উড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এবিষয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশের সুরতাহাল রিপোর্ট সম্পন্ন করে ময়না তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসলে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা জানা যাবে। ময়না তদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।