আলমডাঙ্গার পারকুলা থেকে ২৯৫ কেজি ভিজিএফ“র চাউলসহ এক নারী আটক
জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ইউপি সদস্যরা
আলমডাঙ্গার পারকুলা গ্রাম থেকে ২৯৫ কেজি চোরাই চালসহ আনোয়ারা পারভীন নামের এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। ওই মহিলার বাড়িতে চোরাই চাল মজুদ আছে গ্রামবাসী জানার পর পুলিশকে সংবাদ দিলে রোববার ভোর রাতে পুলিশ তার বাড়িতেm অভিযান পরিচালনা করে। আটক মহিলার দাবী কালিদাসপুর ইউপি চেয়ারম্যান এ চাল বিক্রির জন্য এক ব্যক্তির মাধ্যমে তার বাড়িতে রেখে গেছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর গতকাল চাল জব্দ দেখিয়ে মহিলাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার কালিদাসপুর ইউনিয়নের পারকুলা গ্রামের জহুরুল ইসলামের বাড়িতে ভিজিএফ কার্ডের চাল চুরি করে রেখে দেওয়া হয়েছে বলে গ্রামবাসী দাবী করেন। সংবাদ পেয়ে রোরবার ভোর রাতে পুলিশ ঘটনাস্থল পারকুলা গ্রামের ওই মহিলার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে চোরাই ২৯৫ কেজি চাল উদ্ধার করে। এ সময় আটক করা হয় জহুরুল ইসলামের স্ত্রী আনোয়ারা পারভীনকে। আটক আনোয়ারা পারভীন জানান, গত ১৫ এপ্রিল কালিদাসপুর ইউনিয়ন পরিষদে চাল বিতরণ করা হয়। ওইদিন ৪০টি কার্ড চেয়ারম্যান আশাদুল হক মিকা গ্রামের তুফান আলীর মাধ্যমে তার কাছে পাঠিয়েছেন। চাল বিক্রি করে চেয়ারম্যানের কাছে টাকা দিতে হবে।
এদিকে কালিদাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মাসুদ রানা শিপন ও মহাবুল হোসেনসহ ৮ মেম্বার জেলা প্রশাসকের নিকট চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ তুলে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তারা অভিযোগে উল্লেখ করেছেন ১০ কেজির পরিবর্তে কার্ডধারীদের ৭/৮ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও চেয়ারম্যানের প্রতিবেশির বাড়িতে রেখে দেওয়া ৪শ' কেজি চাল উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এসব অনিয়মের সুষ্ট তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে চাল বিতরণের বিষয়ে ইউনিয়নের দায়িত্বে থাকা ট্যাগ অফিসার উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, 'আমরা নিয়মমাফিক চাল প্রদান নিশ্চিত করেছি।'
কালিদাসপুর ইউপি চেয়ারম্যান আশাদুল হক মিকা বলেন, উদ্ধার হওয়া চাল তার ইউনিয়নের না। ওই চালের সঙ্গে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। কোনো কার্ডধারী বলতে পারবেন না যে তাকে চাল দেওয়া হয়নি। প্রত্যেকে চাল পেয়েছেন।' গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তার সাথে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীদের সাথে তার দ্ব›দ্বী ছিলো। তারাই ষড়যন্ত্র মূলকভাবে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।