আলমডাঙ্গায় শ্যালকের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দুলাভাই প্রাগপুরের গ্রামপুলিশ আব্দুল জলিল মোল্লা গ্রেফতার
আলমডাঙ্গায় শ্যালকের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আব্দুল জলিল মোল্লা নামের এক গ্রাম পুলিশকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধর্ষনের শিকার এক সন্তানের জননীকে পুলিশী হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ৩০ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আব্দুল জলিল মোল্লা আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী ইউনিয়নের প্রাগপুর গ্রামের মৃত সামসুদ্দিন মোল্লার ছেলে ও হারদী ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ হিসেবে কর্মরত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার হাটুভাঙ্গা গ্রামের মাঠপাড়ার আব্দুল মোমিনের মেয়ে মাহমুদা সুলতানা লাভলী (৩৫)“র সাথে ১৬ বছর আগে হাটবোয়ালিয়া বাজারের সুমনের বিয়ে হয়। সুমন স্ত্রী ও এক সন্তান রেখে ৮ বছর আগে মালয়েশিয়া যায়। সুমন মালয়েশিয়া যাওয়ার পর মাহমুদা সুলতানা লাভলীর সাথে পরিচয় হয় পার্শবর্তি মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার আমতৈল গ্রামের মৃত উকিল আলীর ছেলে জাফর আলীর সাথে। প্রাবাসী স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় গত ৬ মাস আগে সুমনকে তালাক দিয়ে জাফর আলীকে বিয়ে করেন লাভলী। জাফরের ভগ্নিপতি আব্দুল জলিল মাঝেমধ্যে এ বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। লাভলীকে কুপ্রস্তাবও দিতেন।
২৯ মার্চও আব্দুল জলিল মোল্লা লাভলী বাড়িতে বেড়াতে আসে এসময় সে বাড়িতে একা ছিল । আত্মীয় সুবাদে ঘরের মধ্যে কথা বলার সময় আব্দুল জলিল তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় মাহমুদা সুলতানা লাভলী বাদী হয়ে বুধবার রাতে আলমডাঙ্গা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ পরদিন সকালেই প্রাগপুর গ্রাম থেকে আব্দুল জলিল মোল্লাকে গ্রেফতার করে।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানান, ধর্ষণের স্বীকার ওই নারী ২৯ মার্চ রাতে আলমডাঙ্গা থানায় উপস্থিত হয়ে বিষয়টি জানান। রাতেই মামলা দায়ের পূর্বক অভিযুক্তকে গ্রেফতার অভিযান চালানো হয়। ভোরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশ আব্দুল জলিল মোল্লাকে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।