নাগদাহ ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে নৌকার প্রার্থী হায়াতের পাল্টা সংবাদ সম্মেলন
আলমডাঙ্গার নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে নৌকা প্রার্থী হায়াত আলী পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। ১৩ মার্চ সোমবার বিকেলে খেজুরতলা বাজারে এক জনাকীর্ণ পরিবেশে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী হায়াত আলী উল্লেখ করেন, আসন্ন ১১নং নাগদাহ ইউপি নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতিকের প্রার্থী। চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জননেতা সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন এমপি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রতি প্রগাঢ় বিশ্বাস ও আস্থা নিয়ে আওয়ামীলীগের কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি।
মনোনয়বোর্ড নৌকার প্রার্থী হিসেবে তাকে ( হায়াত আলী) মনোনয়ন দিলে দলীয় নেতাকর্মীসহ নির্বাচনের কর্মি সমর্থকরা রাতদিন পরিশ্রম করে ইউনিয়নে নৌকার পক্ষে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে নৌকার পক্ষে শক্ত ভিত্তি স্থাপন করেছে। নৌকার ব্যাপক জনপ্রিয়তা দেখে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমতিয়াজ জোয়ার্দার বিপুল ও তার সমর্থকদের মনোবল ভেঙ্গে গেছে। ফলে গত ১১ মার্চ গভীর রাতে নির্বাচনী রীতি ও বাধ্যবাধকতা অমান্য করে তার ( হায়াত আলীর) কর্মিসমর্থকদের উপর মধ্যযুগীয় বর্বরতা চালিয়েছে। দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে। এতে ৮ জন সমর্থক মারাত্বক রক্তাক্ত জখম হয়েছে। এদের মধ্যে দবির আলী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ-তে ক্লিনিক্যালি ডেড অবস্থায়। তাকে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করেছে।
তিনি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী বিপুল জোয়ার্দের নৌকা প্রতিকের জনপ্রিয়তায় বেসামাল হয়ে পড়েছেন। তিনি এখন নির্বাচন বাঞ্চাল করতে উঠে পড়ে লেগেছেন। তার পালিত সন্ত্রাসীদের নির্বাচনী মাঠে নামিয়ে দিয়েছেন। তারা ভোটের মাঠে তান্ডব চালাচ্ছে।নির্বিচারে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করছে নৌকার নেতাকর্মীদের। নৌকার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করেছে। তারা নির্বাচনী মাঠে রীতিমতো আতঙ্ক সৃষ্টি করে রেখেছে।
তিনি দাবি করেন, ১১,মার্চ শনিবার রাতে নির্বাচনী প্রচাররণা চালানোর সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী এজাজ ইমতিয়াজ জোয়ার্দার বিপুলের প্রত্যক্ষ নির্দেশে ওই বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়।
তিনি উল্লেখ করেন, ১১ মার্চ গভীর রাতে বর্বরোচিত হামলার ঘটনা ঘটিয়েই তারা থেমে থাকেনি, সে সময় তারা নিজেদের অফিস ভাংচুর করে নৌকার পক্ষের কর্মীসমর্থকদের বিরুদ্ধে অপবাদ রটিয়েছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে, তারা প্রশাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই সামর্থ থাকা সত্বেও আইন হাতে তুলে নিতে অনাগ্রহী। যারপরনাই সংযম প্রদর্শন করে চলেছেন। এই সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন ওই হামলায় জড়িতদের দ্রæত গ্রেফতার করে আইনের হাতে তুলে দিতে। এ ব্যাপারে তিনি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ আপনারা সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে নির্বাচনের পরিবেশ ফিরিয়ে আনুন,আমরা তাদের নামে মামলা করেছি,নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে দরখাস্ত দিয়েছি,আজ আপনাদের মাধ্যমে আমি বিচার প্রার্থী।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মাস্টার, সহসভাপতি মুনসুর মোল্লা, হাসেম মোল্লা, মোয়াজ্জেম হোসেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আলী, আইয়ুব হোসেন, মুখছার আলী, মটর আলী, জালাল উদ্দিন মন্ডল, আব্দুস সাত্তার, মনজুর রহমান ও মোশারফ হোসেনসহ এলাকাবাসি।