আলমডাঙ্গার কলেজপাড়ায় ঘরের দরজা ভেঙ্গে প্রবাসী মাসুদের মৃতদেহ উদ্ধার
আলমডাঙ্গার কলেজপাড়ায় ঘরের দরজা ভেঙ্গে প্রবাসী মাসুদের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কলেজপাড়ার নিজ বাড়ির শয়নকক্ষের মেঝেতে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। গতকাল দুপুরে থানা পুলিশ ফায়ার সার্ভিসের সহযোগীতায় মাসুদের মৃতদেহ উদ্ধার করে। শুক্রবার রাতে মাসুদ বাড়িতে একাই ছিলেন বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।
নিহত সামসুল আলম মাসুদ (৩৮) ডাউকি ইউনিয়নের বাদেমাজু খন্দকারপাড়ার মৃত কাজী রফি উদ্দিনের এক মাত্র ছেলে। বর্তমানে তিনি আলমডাঙ্গা কলেজপাড়ার বাড়িতে বসবাস করেন।
সামসুল আলম মাসুদ দীর্ঘ বছর সৌদি আরবে ছিলেন।
সৌদিয়ারবে পর পর দুই বার স্টোকে আক্রান্ত হলে গত দুই বছর আগে তিনি দেশে চলে আসেন। মাসুদের ইসমাঈল(৬) নামের একটি ছেলে ও মরিয়ম নামের দুই বছরের একটি মেয়ে রয়েছে।
সামসুল আলম মাসুদের ছোট বোন পপি খাতুন জানান, শুক্রবার রাতে ভাই একাই বাড়িতে ছিলেন। মা গ্রামের বাড়িতে যান। ভাবি ছেলে-মেয়েকে নিয়ে তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান। শনিবার সকালে ভাইকে মোবাইলে অনেকবার কল দিলেও রিসিভ হয়নি। পরে সন্দেহ হলে প্রতিবেশিরা একটি জালানার ফাঁক দিয়ে টর্চ লাইটের আলো ফেলে দেখতে পান মশারিসহ মেঝেতে মাসুদের লাশ পড়ে আছে। এরপর থানা পুলিশ ফায়ার সার্ভিসের সহযোগীতায় মাসুদের মরদেহ উদ্ধার করে।
প্রতিবেশি ও এলাকাবাসি জানান, সামসুল আলম মাসুদ ইতোপূর্বে দুই বার স্ট্রোক করেছিলেন। গতরাতে বাড়িতে তিনি একাই ছিলেন। আবারও স্ট্রোক করার কারণে তার মৃত্যু হতে পারে বলেও জানান তারা।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানান, কলেজপাড়ার একটি বাড়িতে তালাবদ্ধ ও ভেতর থেকে দরজা বদ্ধ ঘরে লাশ পড়ে আছে এমন সাংবাদ পাই। দ্রæত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ফায়ার সার্ভিসকে সংবাদ দিলে তারা এসে গেটের তালা ও দরজা ভেঙ্গে মাসুদের মৃতদেহ উদ্ধার করি। আলামত অনুযায়ী তার স্ট্রোকজনিত কারনে মৃত্যু হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।