নাটোরের আসওয়াদ হ্যাচারীর মুরগীর বাচ্চা আলমডাঙ্গা থেকে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার: ৩ হাজার ৬শ বাচ্চা উদ্ধার
নাটোরের আসওয়াদ হ্যাচারী থেকে ৪ হাজার ৭ শ মুরগীর বাচ্চা আলমডাঙ্গায় এনে টাকা না দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ৪ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মুরগী ছিনতাই ও আসামী গ্রেফতারের বিস্তারিত তুলে ধরে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান লালন প্রেস ব্রিফিং করেছেন। ১৯ ফেব্রুয়ারী বেলা ১১ টার দিকে আলমডাঙ্গা থানায় তিনি প্রেস ব্রিফিং করেন। এসময় থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, রাজবাড়ি জেলার গোয়াললন্দ উপজেলার বাহের চর গ্রামের সালাম শেখের ছেলে আলামিন একজন প্রতারক। সে নিজেকে আলমডাঙ্গায় মৌ পোল্ট্রি ফার্মের স্বত্তাধিকারি পরিচয় দিয়ে নাটোরের আসওয়াদ এগ্রো ফার্মের স্বত্তাধিকারী জান্নাতুল জামানের কাছে মুরগীর বাচ্চা কিনতে চায়।
আল আমিনের চাহিদামত ৪ হাজার ৭ শ বাচ্চা নিয়ে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে আসওয়াদ এগ্রো'র ম্যানেজার মোস্তাফিজুর রহমান ৪ হাজার ৭ শ বাচ্চা নিয়ে আলমডাঙ্গা রেলস্টেশন এলাকায় পৌছেন। প্রতারক আল আমিন আগে থেকেই স্টেশন এলাকায় অপেক্ষা করছিল। সে গাড়ি থেকে মুরগীর বাচ্চা নামিয়ে পাখি ভ্যানে তুলে দিয়ে টাকা দেয়ার নাম করে আসওয়াদের ম্যানেজারকে নিয়ে একটি চায়ের দোকানে ঢোকে। এর কিছুক্ষন পর ম্যানেজারকে ধাক্কা দিয়ে আল আমিন পালিয়ে যায়।
ম্যানেজার মোস্তাফিজুর রহমান ওইদিনই আলমডাঙ্গা থানায় ঘটনার বিবরন জানিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
আল আমিনের মোবাইল নাম্বার ট্র্যাকিং করে পুলিশ মুরগীর বাচ্চা ছিনতাইয়ে কয়েকজনের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পায়। জানা যায়, মুরগীর বাচ্চা ছিনতাই ও বিক্রির জন্য আল আমিনের মার্কেটিং ম্যানেজারও রয়েছে। মার্কেটিং ম্যানেজার কবির হোসেন বিভিন্ন পোল্ট্রি ফিডের মালিকের কাছে বাচ্চা বিক্রি করে।
ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডুর পোল ভাতুড়িয়া গ্রামের কুদ্দুস মন্ডলের ছেলে কবির হোসেন, দামুড়হুদার উজিরপুর গ্রামের মৃত শামসুদ্দিন মন্ডলের ছেলে আরজেন আলী, ঝিনাইদহ সদরের লক্ষীকোল গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে পোল্ট্রি ফিড ব্যবসায়ী মশিউর, হলিধানীর তাইজুল ইসলামের ছেলে পোল্ট্রি ফিড ব্যবসায়ী শাজাহানকে আটক করে পুলিশ।
আল আমীন ও তার মার্কেটিং ম্যানেজার কবির হোসেন ছিনতাই করা মুরগীর বাচ্চা মশিউর ও শাজাহানের কাছে বিক্রি করে আসছিল। পুলিশ অভিযান চালিয়ে এই দুই পোল্ট্রি ফিড ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া ৩৬শ বাচ্চা উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, মূল প্রতারক আল আমিনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। চেষ্টা করা হচ্ছে বাকী বাচ্চা উদ্ধারের ।
১৯ ফেব্রুয়ারী রবিবার গ্রেফতারকৃত চার আসামীকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।