আলমডাঙ্গার নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে বিপুল জোয়ার্দ্দারের পক্ষে একাট্টা হয়েছে নাগদাহ গ্রামবাসী
আলমডাঙ্গার নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে এজাজ ইমতিয়াজ বিপুল আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়ে না পাওয়ায় তার পক্ষে একাট্টা হয়েছে নাগদাহ গ্রামবাসী। ইউনিয়নে নাগদা গ্রামে সর্বাধিক ভোটা সংখ্যা। এলাকার প্রভাবশালী পরিবারের সামাজিক ব্যক্তি হিসেবে বিপুলের রয়েছে ঈর্শনীয় জনপ্রিয়তা। তারপরও দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় গ্রামের ছেলে বিপুলের পক্ষে একাট্টা হয়েছেন তারা। নৌকা প্রতীক না পাওয়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থী বিপুলের বাড়ির সামনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নাগদাহ গ্রামবাসি ভীড় করেন। এসময় তারা বিপুলের নামে শ্লোগানে শ্লোগানে ফেটে পড়েন। এজাজ ইমতিয়াজ বিপুল জোয়ার্দ্দার নাগদাহ গ্রামের স্বনামধন্য নজরুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার সোনা মিয়ার ছেলে।
নাগদাহ গ্রামের মোহাম্মদ আলী জোয়ার্দ্দার বলেন, বিপুল আমাদের ইউনিয়নে একজন ভাল ও সামাজিক ছেলে হিসেবে পরিচিত। দল তাকে মনোনয়ন না দিলেও জনগণ তাকে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান হিসেবে জয়ি করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন গ্রামবাসী।
একই গ্রামের মোজাম্মেল হকও অভিন্ন কথা বলেন। তিনি বলেন, বিপুলের কোথাও কোন বদনাম নেই। আমরা গ্রামবাসি তার সাথে আছি।
বয়োবৃদ্ধ আবু বকর ওরফে বাক্কা ফকির বলেন, আমরা দল বুঝিনা। বিপুল ভাল ছেলে। সে তার বাপ সোনা মিয়ার মত হয়েছে। গ্রামের নারী-পুরুষ বিপুলের সাথে রয়েছে।
নাগদাহ গ্রামের আরেক বয়স্ক লোক গোলাম জোয়ার্দ্দার বলেন, এখনকার যুগে বিপুলের মত ভাল ছেলে হয় না। সে চেয়ারম্যান হওয়ার যোগ্য।
জানা গেছে, আগামী ১৬ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য নাগদাহ ইউপি নির্বাচনে মোট আট জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতায় মাঠে নেমেছেন। দুইজন বাদে বাকি ছয় জনই আওয়ামীলীগের সমর্থক। দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হায়াত আলী। হায়াত আলীর বাড়ি ভেদামারী গ্রামে। অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের বাড়িও ভেদামারী গ্রামে। এই গ্রামে ভোট রয়েছে প্রায় সাতশ। পাশের জোড়গাছা গ্রামেও রয়েছে আওয়ামীলীগ সমর্থক দুইজন চেয়ারম্যান প্রার্থী। ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মিশর আলী ও আওয়ামীলীগ নেতা হাবিবুর রহমানের বাড়ি জোড়গাছা গ্রামে। বলিয়ারপুর গ্রামে আরেক আওয়ামীলীগ নেতা হাবিবুর রহমান চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। এছাড়া উপজেলা জামায়াতের আমীর দারুস সালাম বর্তমানে জেলে থাকলেও কাগজপত্রে তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। তিনি নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানও। ইউনিয়নের জাঁহাপুর গ্রামের রাসেল বিশ্বাস নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
সব ছাপিয়ে নাগদাহ গ্রামের বিপুল সুবিধাজনক অবস্থানে।