স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ১ বছর সংসারের পর অন্য মেয়েকে বিয়ে করে শ্রীঘরে ডাউকির শান্ত
ভাড়া বাসায় এক বছর স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে সংসার করে অন্যত্র বিয়ে করে ফেলায় কথিত স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা ঠুকে দিয়েছেন রাজিয়া নামের কথিত স্ত্রী। গাজিপুরের নতুন বাজার এলাকায় বাসা ভাড়া করে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস করতেন তারা। ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরে কথিত স্বামী শান্ত অন্য মেয়েকে বিয়ে করেছেন। ঘটনা জানাজানি হলে রাজিয়া শান্ত'র বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষন মামলা করেন।
রাজিয়া আলমডাঙ্গার ডাউকি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে। কথিত স্বামী শামীম হাসান শান্ত একই গ্রামের হামিদুল ইসলাম লাড্ডুর ছেলে।
জানা গেছে, রাজিয়া গাজিপুরের বিনতেস বেনিম অ্যাপারেলস কোম্পানিতে কয়েক বছর ধরে চাকরী করেন। তার গ্রামের পূর্ব পরিচিত শান্ত বছর খানেক আগে গাজিপুরে যান চাকরীর খোঁজে। বিনতেস বেনিমে শান্ত'র চাকরী পেতে রাজিয়া সহযোগীতা করেন। এ ঘটনায় দু'জনের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক সময় দুজনের মধ্যে মন দেয়া নেয়া হয়। তারা একে অপরকে বিয়ে করবেন বলেও সিদ্ধান্ত নেন। সুচতুর শান্ত'র কথামত তারা গাজিপুরের নতুন বাজার এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নেন। সেখানে তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস করতে থাকেন।
বিয়ের জন্য বললে শান্ত টাকা জোগাড় করার কথা বলে সময় পার করতে থাকেন। বিয়ের পরে সংসার গোছাতে অনেক টাকার প্রয়োজন বলে রাজিয়ার বেতনের টাকাও শান্ত নিয়ে নিতে থাকেন। শান্তকে বিশ্বাস করে প্রতিদিন ঠকতে থাকেন রাজিয়া। মাসের পর মাস ঠকতে ঠকতে বছর পার হয়ে যায়। তবুও শান্ত রাজিয়াকে বিয়ে করেন নি। গত জানুয়ারি মাসে এক পর্যায়ে বিয়েতে রাজি হন শান্ত। বিয়ে করতেই তারা দুজনে বাড়িতে চলে আসেন। দুই বাড়িতেই বিয়ের আলোচনা চলতে থাকে।
এ আলোচনার কথা শান্ত ও রাজিয়ার বাড়ি ছাপিয়ে গ্রামের চায়ের দোকানগুলোতেও মানুষের মুখে মুখরোচক আলোচনায় পরিণত হতে থাকে। তাদের দুজনের গাজিপুরে বিয়ে না করে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস করার কথাও আলোচনায় ঘুরেফিরে আসে।
এরই মাঝে জানুয়াররির ২৫ তারিখের রাতে শান্ত অকল্পনীয় এক ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেন। তিনি বাবা-মায়ের ঠিক করা এক মেয়েকে অতি সংগোপনে বিয়ে করে ফেলেন। রাতেই বিয়ের ঘটনা জানাজানি হয়ে যায়। জানা যায় আলমডাঙ্গার হাড়গাড়ি গ্রামের বদরুল ইসলামের মেয়েকে বিয়ে করে ঘরে তুলেছেন শান্ত। এ খবরে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে রাজিয়ার।
রাজিয়ার বাবা আলমসাধু চালক। শান্ত'র পরিবার অবস্থাসম্পন্ন। অর্থ ও ক্ষমতায় পিছিয়ে থাকা রাজিয়ার বাবা অনেকটা একঘরে হয়ে পড়েন। অবশেষে রাজিয়া থানায় শান্তর বিরুদ্ধে ধরনের অভিযোগ দায়ের করেন। থানা পুলিশ অভিযোগ পেয়ে গতকাল দুপুরে বাড়ি থেকে শান্তকে আটক করেন।
রাজিয়া জানান, "আমাকে বিয়ে করবে বলে শান্ত এক বছর আমার সাথে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে থেকেছে। আমার এক বছরের বেতনের টাকাও সে নিয়ে নিয়েছে। তার প্রতারনার শিকার হয়েছি আমি। আমি শান্ত'র বিচার চাই।"