পরিবার গত তিন মাস কোন খবর পাননি আলমডাঙ্গার শ্যামপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী মিনহাজ উদ্দীনের
পরিবার গত তিন মাস কোন খবর পাননি আলমডাঙ্গার শ্যামপুর গ্রামের সৌদি প্রবাসী মিনহাজ উদ্দীনের (৩৫)। হঠাৎ সৌদি আরব থেকে তার সহকর্মী ফোন করে জানিয়েছেন ঠান্ডা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মিনহাজ ঘরের ভেতর মরে পড়েছিল। বৈধ কাগজপত্র ছিল না বলে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে সৌদিতেই দাফন করা হয়েছে। এ মৃত্যুর সংবাদে দিশেহারা হয়ে পড়েছে পরিবারটি।
জানা যায়, শ্যামপুর গ্রামের দিনমজুর শহিদুল ইসলামের ছেলে মিনহাজ উদ্দীন গত ৪ বছর আগে সৌদি আরব যান। সেখানে যাওয়ার কিছুদিন পর আকামা করতে না পারায় অবৈধভাবে বিভিন্ন এলাকায় লুকিয়ে কাজ করত। কয়েকমাস আগে মিনহাজ বাড়িতে ফোন করে জানায় তিনি অন্য শহরের কাজে চলে যাচ্ছেন।
এরই মধ্যে বেশ কয়েক মাস অতিবাহিত হলেও মিনহাজ আর বাড়িতে ফোন করেনি। গত ২৮ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে সৌদিআরব থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তি ফোন করে জানায় যে, মিনহাজ গত ২৬ জানুয়ারি ঠান্ড জ্বরে আক্রান্ত হয়ে তার ঘরে মরে ছিল। আকামা ও কাগজপত্র না থাকায় তাকে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে সৌদিআরবে দাফন করা হয়েছে।
মিনহাজ উদ্দীনের দুই ছেলে। বড় ছেলে দশম শ্রেণিতে পড়ে। পঞ্চম শ্রেণিতে ছোট ছেলে। বয়স্ক বাপ চেলা করেন বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে। মৃত ছেলের বউ ও তার দুই নাবালক ছেলেকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তিনি।