প্রবাসীর স্ত্রীর নগ্ন ছবি ও তার নামে কুৎসা সম্বলিত লিফলেট ছড়িয়ে দেওয়ার মামলায় দুজন গ্রেফতার
আলমডাঙ্গার হাকিমপুর গ্রামের প্রবাসীর স্ত্রীর নগ্ন ছবি ও তার নামে কুৎসা সম্বলিত লিফলেট ছড়িয়ে দেওয়া মামলায় অভিযুক্ত রাজমিস্ত্রী শুকুর আলীসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গোপনে ওই রমনীর মোবাইল থেকে তার নগ্ন কিছু ছবি নিয়ে শুকুর মিস্ত্রী কুপ্রস্তাব দেয়। এতে প্রবাসীর স্ত্রী রাজি না হলে শুকুর আলী আপত্তিকর ছবি ও লিফলেট বাড়ির সামনে ছড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় গৃহবধূর বাবা আলমডাঙ্গা থানায় শুকুর আলীর নামে পর্ণগ্রাফি আইনে মামলা হয়েছে। শুকুর আলীকে গ্রেফতারের পর সে আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তীমুলক জবানবন্দী দিয়েছে। পরে শুকুর আলীর স্বীকারোক্তি মোতাবেক এক কম্পিউটার দোকানদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রাজমিস্ত্রী শুকুর আলী উপজেলার সাহেবপুর গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে ও কম্পিউটার কম্পোজার আবুল বাশার সরোজগঞ্জ এলাকার বোয়ালিয়া গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার হাকিমপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে সোহেল রানা বছর তিনেক আগে সরোজগঞ্জ এলাকার বোয়ালিয়া গ্রামে বিয়ের করেন। বিয়ের এক বছর পর স্ত্রী ফারজানাকে বাড়িতে রেখে তিনি কুয়েতে চলে যান।
এরই মাঝে প্রায় দেড় বছর আগে সাহেবপুর গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে শুকুর মিস্ত্রী ফারজানার বাপের বাড়িতে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতে যায়। এ সময় ফারজানার সাথে শুকুরের পরিচয় ঘটে। ফারজানা ও তার প্রবাসী স্বামীর সাথের কিছু নগ্ন ছবি মোবাইলে ছিল। শুকুর মিস্ত্রী কৌশলে ফারজানার মোবাইল থেকে ছবিগুলো চুরি করে নিজের মোবাইলে নিয়ে নেয়।
এরপর সে শুরু করে ফারজানাকে ফাঁদে ফেলার কাজ। অনবরত কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। দেড় বছর ধরে নানা ফন্দিফিকির করেও সে প্রবাসীর স্ত্রীকে কাছে টানতে পারেনি। অবশেষে শুক্রবার গভীর রাতে আনোয়ার হোসেনের বাড়ির সামনে আগের চুরি করা কিছু নগ্ন ছবি ও কুরুচিপূর্ণ লিফলেট ফেলে যায়।
শনিবার রাতে ফারজানার শ্বশুর আনোয়ার হোসেন বাদি হয়ে থানায় শুকুর মিস্ত্রীর নামে পর্ণগ্রাফি আইনে মামলা করেন। গ্রেফতারকৃত শুকুর আলীকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং কম্পিউটার দোকানদার আবুল বাশারকে সংশ্লিষ্ট মামলায় আজ আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানা গেছে।