১২ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সমন্বয়হীনতার কার‌ণে আলমডাঙ্গায় ৩দিন ব্যাপি কৃষি প্রযুক্তি মেলায় উপস্থিত ছিলেন না অতিথিরা

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৩
143
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর আয়োজিত তিন দিনব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি প্রধান অতিথি। অনুষ্ঠান বর্জন করেন বিশেষ অতিথিরা। ৭ ফেব্রæয়ারী ২০২২-২৩ অর্থ বছরে বৃহত্তর কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চল কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প (১ম সংশোধনী)“র আওতায় তিন দিন ব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধনী দিনে অতিথিদের অনুপস্থিতি কৃষি অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয়হীনতা ফুটে উঠেছে। অতিথি ও কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে তা জানা গেছে।


কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গার উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূরের। এ প্রযুক্তি মেলার ব্যানারেও এ তথ্যগুলির উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু প্রধান ও বিশেষ অতিথিদের কেউই উপস্থিত ছিলেন না। ইতোপূর্বে প্রধান অতিথি উপস্থিত না থাকলে সাধারণত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন, সভাপতিত্ব করে থাকেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। কিন্তু দীর্ঘদিনের এ ট্র্যাডিশন ভেঙ্গে এবার সভাপতিত্ব করলেন জেলা পর্যায়ের বিভাগীয় কর্মকর্তা।


এ প্রসঙ্গে আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হোসেন শহীদ সরোওয়ার্দীর সাথে মোবাইলফোনে তার বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি " অনুপস্থিত অতিথিরা আগামি দিন উপস্থিত থাকবেন ' জানিয়েই রিং কেটে দেন।


খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা -১ আসনের সংসদ সদস্য অসুস্থ ছিলেন, তিনি কলকাতা থেকে শারীরিক চেকআপ শেষে এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন ও ভাইস চেয়ারম্যানদের কাউকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের একই সময়ে পূর্ব নির্ধারিত আরেকটি প্রোগ্রাম ছিল।


উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড, সালমুন আহমেদ ডন জানান, " ইতোপূর্বের সমস্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে নিমন্ত্রণ পেলেও এ মেলা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমাকে বলা হয়নি। আমাদের উপজেলা চেয়ারম্যানকে নিমন্ত্রণ করলে দূরের অনুষ্ঠানেও উপস্থিত হন। তিনি কেন উপস্থিত ছিলেন না সেটা বলতে পারবো না। আমি মনে করি উপজেলা পরিষদের সাথে কৃষি অফিসারের সমন্বয়হীনতা রয়েছে।"


তবে অনেকেই অভিযোগ তুলে বলেছেন উপজেলা কৃষি অফিসারের সমন্বয়হীনতার কারণে অতিথিরা এ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি।


জানা গেছে, সম্প্রতি কৃষি অফিস চত্বর প্রাচীর দিয়ে আটকাতে ৬ লাখ টাকা বরাদ্ধ পান কৃষি কর্মকর্তা হোসেন শহীদ সরোওয়ার্দী। এ অর্থে প্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরু করলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাঁধা দেওয়া হয়। উপজেলা চত্তরের ভেতর অবস্থিত সকল অফিস নিয়ে উন্নয়ন ও অবকাঠামোর একটা মাস্টার প্ল্যান রয়েছে। এ মাস্টার প্ল্যানের সাথে সাংঘর্ষিক হওয়ায় এ প্রাচীর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে সেই অর্থ সমন্ব্য় করতে কৃষি অফিসের পাশের দীর্ঘদিনের পরিত্যক্ত গোডাউন সংস্কার করা হচ্ছে। এ বিষয়টিই উপজেলা প্রশাসনের সাথে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সমন্বয়হীনতার কারণ হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে।


উপজেলা নির্বাহি অফিসার রনি আলম নূর জানান, "আয়োজিত অনুষ্ঠান সম্পর্কে কৃষি কর্মকর্তা আমার সাথে আগে থেকে কোন আলোচনা না করায় পূর্ব নির্ধারিত একটি প্রগ্রামে আমি অংশ নিই। তিনি আমার সাথে আলাপ করলে এ ব্যাপারে সমন্বয় করা সম্ভব হতো।"

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram