আলমডাঙ্গায় ভোক্তাধিকার অধিদপ্তরের অভিযানে দুই প্রতিষ্ঠানে ২০ হাজার টাকা জরিমানা : ১০ দিন বন্ধ রাখার নির্দেশ
"চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনি।" প্রবাদের এ স্বতসিদ্ধ বাণী বাস্তব হয়ে উঠলো আলমডাঙ্গা শহরের চারতলা এলাকার মেসার্স মোল্লা স্টোরের মালিক জামিরুল ইসলামের ক্ষেত্রে। একই অপরাধ দুবার করার জন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে এ প্রতিষ্ঠানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। এছাড়াও ১০ দিনের জন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গায় সহকারী পরিচালক সজল আহমেদের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
শিশু স্বাস্থের জন্য মারাত্মক হুমকি, মেয়াদ- মুল্যবিহীন ও ক্ষতিকর রঙ মেশানো নিম্নমানের শিশুখাদ্য বিখ্যাত ব্র্যান্ড প্রাণের প্যাকেটে ভরে বিক্রিয়সহ নানান অপরাধে এ শাস্তি প্রদান করা হয়। নিম্নমানের ভেজাল শিশুখাদ্যের প্রতি শিশুদের প্রলুব্ধ করতে পণ্যের সাথে প্লাস্টিকের খেলনাও দেওয়া হচ্ছে। এ অপরাধে জামিরুল ইসলামকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন- ২০০৯ এর ৩৭, ৪১ ধারায় এ জরিমানা করা হয়।
একই দিনে পৃথক আরেকটি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জহির স্টোরের মালিক জহুরুল ইসলামকে একই অপরাধ ও ধারায় ১০,০০০/- টাকা জরিমানা ও ১০ দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। অভিযানে ০২টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় প্রায় ৮-১০ বস্তা নিম্নমানের নকল ভেজাল শিশুখাদ্য জনসম্মুখে পুড়িয়ে নষ্ট করে সবাইকে সতর্ক করে দেয়া হয়।
এ অভিযান পরিচালনাকালে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা পৌর স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও আলমডাঙ্গা থানার এসআই লিটন কুমার, পৌরসভার স্টাফ সায়েমসহ আলমডাঙ্গা থানার ফোর্স ।