আলমডাঙ্গায় শিশু মরিয়ম হত্যা মামলার আসামীদের বিরুদ্ধে নিহত মরিয়মের দাদীকে মারধরের অভিযোগ
আলমডাঙ্গার মাদারহুদা গ্রামের শিশু মরিয়ম হত্যা মামলার আসামীরা নিহত মরিয়মের বয়োবৃদ্ধ দাদী খালেদা বেগমকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ১২ ডিসেম্বর সোমবার সকাল ১০ টার দিকে বাড়ির পাশের বাগানে পাতা আসতে যাওয়ার সময় তিন আসামী মিলে বৃদ্ধাকে উপুর্যুপরি পিটিয়ে আহত করে। খালেদা বেগমকে হারদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালের বেডে শুয়ে খালেদা বেগম জানান, সকালে বাড়ির পাশের সুরত আলীর মেহগনি বাগানে ছাগলের জন্য পাতা নিতে যাচ্ছিলেন তিনি । এ সময় মরিয়ম হত্যা মামলার আসামী রিয়া ও তার মা রেখা খাতুন অতর্কিত হামলা করে খালেদা বেগমের ওপর। তাদের সাথে যোগ দেয় অপর আসামী রানা। তারা তিনজন মিলে বয়োবৃদ্ধ খালেদাকে মাটিতে ফেলে পাড়িয়ে-দলিয়ে মারাত্মক আহত করে। বৃদ্ধার পরনের কাপড়-চোপড়ও ছিড়ে ফেলে। শ্বাশুড়িকে মারধরের দৃশ্য দেখে ছুটি আসেন নিহত মরিয়মের মা হাসিনা খাতুন। এসময় তাকেও মারধর করা হয় বলে জানান। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আলমডাঙ্গার মাদারহুদা গ্রামের একটি পুকুর থেকে মরিয়ম নামের ৮ বছরের এক শিশুকন্যার লাশ উদ্ধার করা হয়। মরিয়ম মাদারহুদা গ্রামের খাইরুল ইসলামের কন্যা। পরদিন ১০ ডিসেম্বর প্রতিবেশী মনি মন্ডল, তার স্ত্রী রেখা খাতুন, রানা ও রিয়াকে আসামী করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন মরিয়মের পিতা খাইরুল ইসলাম।
খাইরুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, তার মেয়ে মরিয়ম বাড়ির পাশে খেলা করছিল। ওইদিন সকাল ১০ টার দিকে প্রতিবেশি মনি মন্ডলের মেয়ে রিয়া মরিয়মকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর দীর্ঘ সময় মরিয়ম বাড়ি না ফিরলে আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি। চারিদিকে খোঁজাখুজি শুরু হয়। কোথাও না পেয়ে গ্রামের মসজিদের মাইক দিয়ে তার খোঁজ করা হয়। এরই এক পর্যায়ে গ্রামের একটি পুকুর থেকে মরিয়মের লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে মরিয়মের কানের স্বর্ণের দুল পাওয়া যায়নি। তিনি জানান, আসামীর পরিকল্পিতভাবে আমার মেয়েকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেয়। ওই মামলার ১ নং আসামী রানাকে র্যাব গ্রেফতার করে আলমডাঙ্গা থানায় সোপর্দ করে। পরে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ সংশ্লিষ্ট মামলায় রানাকে আদালতে প্রেরন করে।