১৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবার ৩য় স্ত্রীর অভিযোগ আলমডাঙ্গা কেশবপুরের প্রবাসী রেজাউলের বিরুদ্ধে

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
ডিসেম্বর ১০, ২০২২
70
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

আলমডাঙ্গার কেশবপুর গ্রামের প্রবাসি রেজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে পঞ্চম স্ত্রীর অর্ধকোটি টাকা প্রতারণা করে হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগের পর এবার তার তৃতীয় স্ত্রী নুরজাহান খাতুন থানায় আরেকটি অভিযোগ করেছেন। ৮ বছর আগে প্রতারণার মাধ্যমে বগুড়ার শেরপুরের ওই নারীর সাথে বিয়ের পর যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে এক মাস পর থেকেই যোগাযোগ বন্ধ করে দেন রেজাউল। দীর্ঘদিন বিদেশ থেকে ফিরে আসায় রেজাউলের অনৈতিক কাজের বিচার চেয়ে থানায় এ সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই নারী।

লিখিত অভিযোগে জানা যায়, আলমডাঙ্গার কেশবপুর গ্রামের আবু বক্কর মন্ডলের ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী রেজাউল ৮ বছর আগে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বেতগাড়ি মধ্যপাড়ার মৃত মোখছেদ আলীর মেয়ে নুর জাহান খাতুনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য তাকে নির্যাতন শুরু করে। এক পর্যায়ে বাপের বাড়ি থেকে ৫ লাখ টাকা এনে রেজাউল দেন । এরপরই নুর জাহান জানতে পারেন রেজাউল ইসলাম ইতোপূর্বে আরও দুটো বিয়ে করেছেন। বিয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে রেজাউল তাকে হুমকি ধামকি দিয়ে আবার বিদেশ চলে যান। পরে নুরজাহানের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। বন্ধ করে দেন ভরণপোষণ।


গত ২৫ নভেম্বর রেজাউলের দেশে ফেরার সংবাদ পেয়ে নুরজাহান খাতুন আলমডাঙ্গায় এসে থানায় অভিযোগ করেছেন।
এদিকে রেজাউল ইসলামের পঞ্চম স্ত্রী রিনা খাতুন তার স্বামীর প্রতারণার বিচার চেয়েছেন। তিনি গত পরশু সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তার কাছ থেকে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলে এ সংবাদ সসম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি করেন, ২০১৫ সালে রেজাউলের সাথে বিয়ের আগে তার কাছে প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা ছিল। ওই টাকা রেজাউল কৌশলে হাতিয়ে নেন। ২০১৬ সালে রেজাউল রিনাকে মালেশিয়ায় নিয়ে যান।

সেখানে একটি রেস্টুরেন্ট করতে রিনার কাছ থেকে তার গচ্ছিত ১৭ লাখ টাকা নিয়ে নেন রেজাউল। করোনা মহামারী শুরু হলে রেজাউল রেস্টুরেন্ট রিনার কাছে দিয়ে আদম ব্যবসা ও নারী সাপ্লাইয়ের কাজ শুরু করে। তার মূল নেশা ছিল নারী। রেজাউলের মোট ৬ টি বিয়ের খবর তিনি জানতে পারেন। এসব নিয়ে তার ওপর নেমে আসে অকথ্য নির্যাতন। এক পর্যায়ে তার শিশু পুত্রকে অপহরণ করে তার কাছ ৩০ লক্ষ টাকা আদায় করে। রিনা জানান, আলমডাঙ্গার মাদ্রাসাপাড়ার টিনশেডের যে বাড়িটি তিনি ৭ লক্ষ টাকা দিয়ে কিনেছিলেন সেটা ২০২১ সালে মালেশিয়া যাওয়ার পর তার উপার্জিত অর্থ দিয়ে। এছাড়াও রেজাউল নওলামারী থেকে চার জনকে মালেশিয়া নিয়ে যাওয়ার জন্য ৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

এতো অত্যাচার ও নির্যাতনের পরও রেজাউলের সাথে তিনি সংসার করতে চেয়েছিলেন। গত নভেম্বরের ২৫ তারিখে দেশে এসে রেজাউলকে সাথে নিয়েই তিনি তার বাপের বাড়ি নওলামারীতে যান। কয়েকদিন সেখানে থাকার পর রেজাউল তার সোনার গহনা ও নগদ এক লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়ে চলে যান। পরে রিনা খাতুনের নামে উল্টো থানায় কোটি টাকা আত্মসাতের মিথ্যা অভিযোগ করেন।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram