শিক্ষার্থীদের শ্লোগানে যোগদান না করে প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করলেন আলমডাঙ্গা সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক
আলমডাঙ্গা সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান চিকিৎসা ছুটি শেষে স্কুলে গেলে সহকারী শিক্ষকদের বাঁধা ও শিক্ষার্থীদের চোর চোর শ্লোগানে অপমানিত হয়ে স্কুল ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন।
বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা চলাকালিন প্রধান শিক্ষক স্কুলে ঢুকলে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা ফেলে হলের বাইরে এসে চোর চোর শ্লোগান দেয়। এ সময় অপমানিত হয়ে রবিউল ইসলাম খান স্কুল ত্যাগ করতে বাধ্য হন। গতকাল বুধবার সকাল ১০ টার দিকে সরকারী পাইলট স্কুলে ন্যাক্কারজনক এসব ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে স্কুলের প্রায় ২০ লক্ষ টাকা আত্মসাতের বিভাগীয় তদন্ত চলছে। এর বিপরীতে তিনি বিদ্যালয়ের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সহকারী শিক্ষক ও উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নামে আদালতে মামলা করেন। এ নিয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে।
এ অবস্থায় প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান চিকিৎসার জন্য ছুটি নেন। চিকিৎসা ছুটি শেষে গতকাল তিনি স্কুলে যোগদান করতে যান। এ সময় বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা যোগদানে বাঁধা দিয়ে স্কুল থেকে চলে যেতে বলেন। এ সময় পরীক্ষার হল থেকে শিক্ষার্থীরা বের হয়ে চোর চোর শ্লোগান দিতে থাকে। লজ্জাজনক এ পরিস্থিতিতে রবিউল ইসলাম খান স্কুল ত্যাগ করতে বাধ্য হন।
এর আগে গত মঙ্গলবার প্রধান শিক্ষকের সাথে প্রাতিষ্ঠানিক কাজ করতে অপারগতা জানিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একাংশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূর বরাবর একটি আবেদনপত্র জমা দেন। আবেদনে শিক্ষকরা বিদ্যালয়ের ২০ লক্ষ টাকা আত্মসাতের প্রসংগ তুলে প্রধান শিক্ষকের সাথে প্রাতিষ্ঠানিক কাজ করতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান বলেন, ছুটি নিয়ে ঢাকায় চিকিৎসা শেষে গতকাল স্কুলে যোগদান করতে যাই। কিন্ত কতিপয় সহকারী শিক্ষক আমাকে হেনস্থা করেন এবং পরীক্ষার হল থেকে ছাত্রদের বের করে এনে আমার বিরুদ্ধে অশোভন শ্লোগান দেওয়ায়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূর বলেন, অসুস্থতা জনিত কারনে রবিউল ইসলাম খান ছুটিতে ছিলেন। মঙ্গলবার মেডিকেল সার্টিফিকেট ছাড়া যোগদান করতে পারেননি। গতকাল পুনরায় স্কুলে গেলে অনাকাংখিত ঘটনার কথা শুনেছি। স্কুলে গিয়ে বিস্তারিত জেনে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান তিনি।