আলমডাঙ্গার যাদবপুর এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিং সরকারি অনুদান পাওয়ার পরও দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার অভিযোগ
আলমডাঙ্গার যাদবপুর এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিং সরকারি অনুদান পাওয়ার পরও দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার অভিযোগ উঠেছে । সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকে প্রতিষ্ঠানটি সরকারি অনুদান পেলেও দীর্ঘদিন ধরে কেন প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ রয়েছে এব্যাপারে এলাকাবসি প্রশ্ন তুলেছে।
জানা যায়, ২০০৯ সালে আলমডাঙ্গা উপজেলার যাদবপুর গ্রামে যাদবপুর এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিং সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে রেজিস্ট্রেশন নিয়ে (৩৮৭/০৯) কার্যক্রম শুরু করে। শুরু থেকে ৬জন এতিম বাচ্চাদের জন্য সরকারি অনুদান পায় প্রতিষ্ঠানটি। যেখানে ৩০ জন এতিমের নাম দিয়ে অনুদানের জন্য আবেদন করা হলেও সরেজমিন গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। এতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিংয়ে দুই দরজা বিশিষ্ট একটি পাকা ঘর ও একটি রান্না ঘর আছে। ঘর ও রান্না ঘর দুটিই দীর্ঘদিন তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
গ্রামের অনেকেই অভিযোগ করেছেন, এ এতিমখানা বন্ধই থাকে বছরের অধিকাংশ সময়। রেজিষ্ট্রেশন হওয়ার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি ৬ জন এতিমের খরচ বাবদ প্রতি বছর সরকারি অনুদান পায় ১ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। এ টাকার পুরোটাই আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন এলাকার মানুষ। এছাড়ার ২০১৭ -১৮ অর্থ বছরে জেলা পরিষদ থেকে এতিমখানার উন্নয়নের জন্য বরাদ্ধ দেওয়া হয়। সেই বরাদ্ধের কিছু টাকার কাজ করলেও বাকি টাকা কোন হিসাব নেই বলে এলাকাবাসি অভিযোগ করেছেন। এতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিংয়ের একটি দুই দরজা বিশিষ্ঠ একটি পাকা ঘর ও একটি রান্না ঘর আছে। ঘর ও রান্না ঘর তালা বদ্ধ করে রেখেছে।
যাদবপুর এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের সাধারন সম্পাদক সেলিম উদ্দিন জানান, শুরু থেকে প্রায় ১৫/২০জন এতিম ছাত্র পড়াশুনা করতো। সরকারি ভাবে ৬ জন এতিমের জন্য ১লাখ ৪৪ হাজার টাকা অনুদান দেয়। প্রতি বছর একজন হুজুরের বেতন দিতে হয় অধিকাংশ টাকা। বর্তমানে হুজুর না থাকার কারণে কিছুদিন দিন ধরে বন্ধ আছে। আগামি ১৮ নভেম্বর একজন হুজুর প্রতিষ্ঠানে যোগদান করবেন। শনিবার থেকে আবারও প্রতিষ্ঠানটি চালু হবে।
যাদবপুর গ্রামের ইউপি সদস্য বায়েজিত হাসান হিটু বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এতিমখানাটি বন্ধ আছে। ওই প্রতিষ্ঠানের শুরু থেকেই ১০/১২ জন এতিম ছাত্র থেকে পড়াশুনা করত। বেশির ভাগ গ্রামের এতিম ছেলেরাই ওখানে পড়াশুনা করে। বেশকিছুদিন থেকে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ আছে।
আলমডাঙ্গা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন জানান, আমরা এতিমখানা ভিজিট করে যে সংখ্যক শিশু পাই, তার অর্ধেকের জন্য অনুদানের ব্যবস্থা করি। এই এতিমখানার বিরুদ্ধে অভিযোগ অনাকাঙ্খিত। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।