৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওসমানপুর-প্রাগপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নি‌য়োগ বা‌নি‌জ‌্যর অভিযোগ

প্রতিনিধি :
শরিফুল ইসলাম রোকন
আপডেট :
নভেম্বর ১৬, ২০২২
101
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার ওসমানপুর-প্রাগপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ বাণিজ্য করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও সহকারী এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ম্যানেজিং কমিটির কিছু সদস্যকে বাদ দিয়েই এ নিয়োগ বাণিজ্য করা হয়েছে।


প্রধান শিক্ষকসহ ৫ জন স্টাফের নিয়োগ বাণিজ্যের মোটা অংকের টাকা সভাপতি ও এক সহকারী শিক্ষক আত্মসাৎ করেছেন দাবি করে ম্যানেজিং কমিটির বিক্ষুব্ধ সদস্যরা ওই অর্থ বিদ্যালয় ফান্ডে জমা দেওয়ার দাবি তুলে গত সোমবার বিদ্যালয়ে চড়াও হন।


অভিযোগে জানা যায়, আলমডাঙ্গার হারদী ইউনিয়নের ওসমানপুর-প্রাগপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি তানসেন আলী, সহকারী শিক্ষক মারফত আলীসহ কয়েকজন মিলে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ ৫ টি পদে নিয়োগ প্রদানের জন্য প্রকিয়া শুরু করেন। ম্যানেজিং কমিটির অন্য সদস্যদের বাদ দিয়ে নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়।

ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্যদের দাবী প্রধান শিক্ষকসহ ৫ স্টাফের নিয়োগ বাবদ প্রায় ৪০ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে। নিয়োগ সংক্রান্ত খরচ বাদ দিয়ে ওই দুইজন ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন। এ নিয়োগের ঘটনায় ম্যানেজিং কমিটির কয়েক সদস্য ফুঁসতে উঠেছেন। গত সোমবার ওয়ার্ড মেম্বার ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আব্দুল গাফ্ফার ফরায়েজী কয়েকজন গ্রামবাসীকে সাথে নিয়ে বিদ্যালয়ে যান।


ইউপি সদস্য আব্দুল গাফ্ফার ফরায়েজী জানান, ওসমানপুর-প্রাগপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক, কম্পিউটির ল্যাব অ্যাসিসট্যান্ট, নৈশ প্রহরী, দপ্তরি ও পরিচ্ছন্নতা কর্মি নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির কাউকে কিছু না জানিয়ে ১ মাস ২০ দিন আগে সভাপতি তানসেন আলী, শিক্ষক প্রতিনিধি মারফত আলী মিলে ওই ৫ জনকে নিয়োগ প্রদান করেন। নিয়োগ প্রদানের পরও ম্যানেজিং কমিটির কোন মিটিং না করে তাদের চাকরীতে যোগদান করিয়ে দেন। আমরা বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চেয়েছি, কাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে? তাদের সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে না দিয়ে, কোন মিটিং না করে কেনো গোপনে এসব করা হচ্ছে? তিনি নিয়োগকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বশীল ছিলেন। বর্তমানে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। সে কারণে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন। তাদের প্রশ্ন যদি নিয়োগ স্বচ্ছতার সাথে হয়ে থাকে তাহলে মিটিং দিতে এতো ভয় কেন? নিয়োগে যে টাকা নেওয়া হয়েছে তার প্রমাণ রয়েছে বলে তারা উল্লেখ করেন।


এ সময় উপস্থিত ছিলেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্য লিল্টু, ইউপি মেম্বার আজিজুল হক, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আয়নাল হক, সাবেক মেম্বার জিল্লুর রহমান, আব্দুর রাজ্জাক, জুয়েল বিশ্বাস,আশাদুল হক, শাসসুল হক, তুগাল মন্ডল, মিঠু বিশ্বাস প্রমুখ।
এ ব্যাপারে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তানসেন আলীর সাথে মুটোফোনে যোগাযোগ করতে বার বার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।

সর্বশেষ খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram