নিজের নামের বাড়িই হলো শেফালির কাল: আলমডাঙ্গার বাবুপাড়ায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা
গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন আলমডাঙ্গা শহরের বাবুপাড়ার শেফালী খাতুন নামের এক মহিলা। ৯নভেম্বর বুধবার বিকেলে নিজ ঘরের ফ্যানের সাথে ওড়না বেঁধে গলায় ফাঁস লাগান তিনি।
স্থানীয়রা জানান, বাবুপাড়ার আশাদুল হকের স্ত্রী শেফালী খাতুন (৪৫)। তিনি এক কন্যা সন্তানের জননী। বুধবার বিকেলে তিনি নিজ ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।
জানা গেছে, শেফালী খাতুনের স্বামী আশাদুল হক এক সময় বিদেশে ছিলেন। সে সময় থেকেই শেফালী সম্পর্কে নেতিবাচক গুঞ্জন উঠে। এক পর্যায়ে আশাদুল অন্যত্র বিয়ে করেন। এই বিয়েকে ইস্যু করে শেফালী খাতুন চাপ দিয়ে বসবাসের একমাত্র দোতলা বাড়িটি শেফালী খাতুন রেজিস্ট্রি করে দিতে বাধ্য করেন স্বামীকে। এরপর তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়িও হয়। বাড়ি ছাড়া হন আশাদুল। এক সময় আত্মীয়স্বজনের মধ্যস্থতায় তারা আবার একে অপরকে বিয়ে করেন। কিন্ত পারিবারিক কলহ থামেনি। আশাদুল ও শেফালীর মধ্যে আবারও তালাক হয়ে যায়। সংসার ও সহায় সম্বল হারিয়ে প্রচন্ড মানসিক চাপ এবং তীব্র অশান্তির ভেতর আশাদুল স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে পক্ষাঘাতগ্রস্থ হন। তিনি গ্রামের বাড়ি পাগলায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
এদিকে, শেফালীর বাড়িতে ভাই পরিচয়ে পোলতাডাঙ্গা গ্রামের বিদ্যুত নামের এক যুবক নিয়মিত যাতায়াত করত বলে প্রতিবেশীরা জানিয়েছে। প্রতিবেশীরা বিদ্যুতের যাতায়াতকে শেফালীর সাথে পরকিয়ার সম্পর্ক বলে সন্দেহ করত। এলাকার কিছু যুবক ইতোপুর্বে বিদ্যুতকে শেফালীর বাড়িতে আসতে নিষেধও করে। এরপরও সে চুরি করে আসত। এরই মধ্যে একমাত্র মেয়ে প্রেম করে বিয়ে করে ফেলে।
আত্মীয় ও প্রতিবেশিদের অনেকে জানান, বর্তমানে তাদের দোতলা বাড়িটির দখল নিতে মেয়ের স্বামী মেয়েকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন বাড়িটি মায়ের নিকট থেকে রেজিস্ট্রি করে নিতে। এমন পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন।
মেয়ের নামে বাড়ি লিখে দেওয়ার দাবী ও পরোকীয়া প্রেমের কারণেই তাকে জীবন দিতে হলো, এমন মন্তব্য করেছেন প্রতিবেশীসহ স্থানীয় অনেকে।
এবিষয়ে প্রতিবেশীদের অভিযোগে অভিযুক্ত শেফালির বাড়িতে নিয়মিত যাতয়াত করা বিদ্যুৎ বলেন, এমন কাহিনি ঠিক না। শেফালী খাতুনকে বড় বোন হিসেবে দেখতাম।