চুরির ১৫ ঘন্টার মধ্যে স্বর্ণালংকারসহ ৩ চোর আটক করেছে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ
চুরির ১৫ ঘন্টার মধ্যে স্বর্ণালংকারসহ চোর আটক করেছে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ। রবিবার দুপুরে আলমডাঙ্গার একটি বাড়ি থেকে চুরি হওয়া সাত ভরি স্বর্ণালংকার কুষ্টিয়ায় চোরের বাড়ি থেকে অর্ধেক ও বাকিটা এক জুয়েলারি দোকান থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
স্বর্ণালাংকার উদ্ধারে নেমে পুলিশ জানতে পারে ষাটোর্ধ জাহানারা বেগম ও তার মেয়ে পলি খাতুন বৃহত্তর কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় কৌশলে বাড়িতে ঢুকে স্বর্নালাংকার চুরি করে কুষ্টিয়ার চৌড়হাঁসের সোহাগ জুয়েলার্সের মালিকের নিকট বিক্রির জন্য দিগে আসেন। জুয়েলার্সের মালিক সেই স্বর্নালাংকার বিক্রি করে টাকা ভাগাভাগি করে নেন। স্বর্নালাংকার চুরি করে জাহানারা ও তার মেয়ে আর বিক্রি করে সোহাগ।
আলমডাঙ্গা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, রবিবার দুপুরে আলমডাঙ্গার মাদ্রাসাপাড়ার ছানোয়ার হোসেনের স্ত্রী ঘরের বাইরের বাথরুমে কাপড়চোপড় পরিষ্কার করছিলেন। এসময় কুষ্টিয়ার আবুল হোসেনের স্ত্রী জাহানারা কৌশলে ঘরে ঢুকে ড্রয়ারের তালা খুলে স্বর্নের ছোট বাক্স নিয়ে গেইট দিয়ে বের হওয়ার সময় ছানোয়ারের স্ত্রীর নজরে পড়ে। এখানে কি করছেন জানতে চাইলে চোর জাহানারা বলেন, পানি খাওয়ার জন্য দাড়িয়েছেন। ছানোয়ারের স্ত্রী পানি আনতে গেলে জাহানারা পালিয়ে যান।
পুলিশ জানায়, তিন মাস আগে জাহানারা আলমডাঙ্গার হাঁপানিয়ার একটি বাড়িতে চুরির দায়ে আটক হয়েছিলেন। সে সময়ে তুলে রাখা জাহানারার ছবি দেখালে ছানোয়ার হোসেনের স্ত্রী চিনতে পারেন যে, এই মহিলাই পানি খেতে চেয়েছিলেন।
নিশ্চিত হয়ে পুলিশ রবিবার রাতেই কুষ্টিয়ার চৌড়হাঁস এলাকায় জাহানারার বাড়িতে অভিযান চালায়। চুরি যাওয়া স্বর্নালাংকারের অর্ধেক তার বাড়িতে পাওয়া যায়। আর বাকি অর্ধেক চৌড়হাঁসের সোহাগ জুয়েলার্সের লকারে পাওয়া যায়। পুলিশ জাহানারা বেগম ও তার মেয়ে পলি খাতুন এবং সোহাগকে আটক করে আলমডাঙ্গা থানায় নিয়ে আসে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
কুষ্টিয়া জুয়েলারি সমিতির সভাপতি বিজন কুমার কর্মকার বলেন, সোহাগ আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলে সমিতি থেকে তাকে বহিষ্কার করা হবে।