আলমডাঙ্গার খেজুরতলা স: প্রা: বি:“র প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎয়ের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি
চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার খেজুরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাসলিমা খাতুনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ বিষয়ে প্রমাণ মিলেছে। ২ নভেম্বর উপজেলা শিক্ষা অফিসের দুই সদস্য বিশিষ্ঠ তদন্তর কমিটি তদন্ত করে এ অর্থ আত্মসাৎয়ের প্রমাণ পেয়েছে। বিদ্যালয়ের বরাদ্দকৃত অর্থের ৪০ হাজার টাকার হিসাব দিতে পারেনি প্রধান শিক্ষক তাসলিমা খাতুন।
অর্থ আত্মসাৎয়ের বিষয়ে খেজুরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কমিটির পক্ষ থেকে আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামসুজ্জোহা দুইজন সিনিয়র সহকারি শিক্ষা অফিসার আশরাফুল ইসলাম ও হুমায়ন কবীরকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়ে দুই সদস্য বিশিষ্ঠ কমিটি গঠন করেন।
গত ২ নভেম্বর তদন্ত কমিটির সদস্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী দুই শিক্ষা অফিসার আশরাফুল ইসলাম ও রশিদুল ইসলাম তদন্ত শুরু করেন। সকাল থেকে বিকাল অবদি সমস্ত কাগজ পত্র, বিল ভাউচার দেখে হিসাব তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা ।
তদন্ত কায়ক্রম শেষে তদন্ত কমিটির সদস্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা অফিসার আশরাফুল ইসলাম জানান, সকাল থেকে তদন্ত তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা হয়। সর্ব শেষ খেজুরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাছলিমা খাতুনের বিরুদ্ধে মোট ৪০ হাজার টাকা তসরুপের প্রমাণ মিলেছে। তিনি আরো জানান, তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানোর পর উপজেলা শিক্ষা অফিস তার বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নিবেন তা পরবর্তীতে জানানো হবে।
আলমডাঙ্গা খেজুরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিযোগে জানা যায়, গত অর্থ বছরে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নে পিইডিপি ও ¯িøপের ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ভ্যাট ও আয়কর বাদ দিয়ে ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা বরাদ্দ পাই বিদ্যালয়। তার মধ্যে থেকে বিভিন্ন কাজে খরচ করা হয় ৬৩ হাজার ৯ শ ৬৩ টাকা। বর্ষা মৌসুম ও বিভিন্ন কারণে বাকী টাকা খরচ করা করেনি। অবশিষ্ট ৬২ হাজার ৩ শ ৮৭ টাকার তছরুপ করেছেন প্রধান শিক্ষক তাছলিমা খাতুন। তিনি বাজেটের কাগজপত্র, বিল ভাউচার স্বাক্ষর করে আলমডাঙ্গা উপজেলা শিক্ষা অফিসে জমা দেন। মাসিক সভায়ও তাছলিমা খাতুন অবশিষ্ট টাকার কোন হিসাব দিতে পারেননি বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। সাবেক সভাপতি আব্দুল জলিলও তার বিদায় বেলায় জানিয়ে যান যে, তার সময়ের শেষ অর্থ বছরেও তাছলিমা খাতুন এক লক্ষ টাকা তুলে নেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
প্রধান শিক্ষক তাছলিমা খাতুন ওই টাকা জায়েজ করতে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের দোহায় দেন। তিনি উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কথামত ওই টাকা ব্যয় করেছেন বলে জানান। এতে সভাপতিসহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা প্রতিবাদ করেন। তারা বলেন, বিদ্যালয়ের কোন কাজে টাকা খরচ করা হয়েছে সেই জায়গা দেখিয়ে দেন। প্রধান শিক্ষক এসময় ভুয়া বিল ভাউচার মাসিক সভায় জমা দেন। বিল ভাউচারে ক্রয় কমিটির কোন স্বাক্ষর না থাকায় মাসিক সভায় তা গ্রহণ করা হয় নাই।
এবিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামসুজ্জোহা জানান, খেজুরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিচালনা পরিষদের সদস্যদের পক্ষ থেকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাছলিমা খাতুনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎয়ের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে তদন্ত করার জন্য দুই সদস্য বিশিষ্ঠ তদন্ত কমিটি গঠন করে হয়। ওই তদন্ত কমিটি ২ নভেম্বর বিদ্যায়ের প্রধান শিক্ষক তাছলিমা খাতুনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎয়ের বিষয়ে তদন্ত করেছেন। তদন্ত রিপোর্ট পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।