সরকার নির্ধারিত মূল্যের চে' অধিক মূল্যে চিনি বিক্রির দায়ে আলমডাঙ্গায় ৩ ব্যবসায়ীকে জরিমানা
সরকার নির্ধারিত মূল্যের চে' অধিক মূল্যে চিনি বিক্রির দায়ে আলমডাঙ্গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ৩ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। ২৪ অক্টোবর সোমবার আলমডাঙ্গা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ ওই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
এসময় অধিক মূল্যে চিনি বিক্রির দায়ে টকিজ সিনেমা হল মার্কেটের রিপন অধিকারীকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, সাদাব্রীজ মোড়ের রেজাউল ইসলামকে ২হাজার টাকা, রেজা ষ্টোরের মালিক রেজাউল করীমকে তার দোকানে সিগারেটের বিজ্ঞাপন দেওয়ার অপরাধে ৫ শ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও আলমডাঙ্গা বাজারে পাইকারি চিনি ব্যবসায়ী উত্তরা ট্রেডার্সের গোডাউনসহ বেশ কয়েক চায়গায় অভিযান পরিচালনা করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা বণিক সমিতির সভাপতি আরেফিন মিলন, সাধারন সম্পাদক কামাল হোসেন, ক্যাষিয়ার আলাউদ্দিন, আলমডাঙ্গা থানার এসআই মনিরুজ্জামানসহ সঙ্গীয় ফোর্স।
বাজারে চিনির দাম বেড়ে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১০৫ টাকা কেজি দরে, যা গত সপ্তাহেও বিক্রি করা হয় ৯০ টাকায়। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগে কখনো চিনির দাম এত বেশি হয়নি। বাজারে প্যাকেটজাত চিনির ঘাটতি ও খোলা চিনির সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এর আগে এক মাসের ব্যবধানে দু’বার চিনির দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। সরকার নির্ধারিত নতুন দাম অনুযায়ী, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি খোলা চিনি ৯০ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনির দাম ৯৫ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। তবে আলমডাঙ্গায় বাজার পরিস্থিতি ভিন্ন।
গত ৬ই অক্টোবর কেজিতে দাম ৬ টাকা বাড়িয়ে খোলা চিনি ৯০ টাকা বেঁধে দেয়। তবে বাজারে এই দরে চিনি মিলছে না। খোলা চিনিই বিক্রি করা হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা কেজি দরে। আর প্যাকেটজাত চিনি প্রতি কেজি ৯৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয়ার পর বাজারে এই চিনি সরবরাহ কমিয়ে দেয়া হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের দাবি - এখন বেশি দামে কিনে আনতে হচ্ছে বলেই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এর আগে কখনোই প্রতি কেজি চিনির দাম ১০০ টাকা ছাড়ায়নি। কিন্তু বর্তমানে চিনির বাজারে টালমাটাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। হঠাৎ করেই বাজার থেকে গায়েব হয়ে গেছে চিনি। এ জন্য সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে কোথাও মিলছে না চিনি। সিন্ডিকেট করেই চিনির বাজার বেসামাল করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
চিনির বাজারের এই সিন্ডিকেট ধরতে এবার একযোগে সারা দেশে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতর। তবে আলমডাঙ্গায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান এখনও পরিলক্ষিত হয়নি।