খেজুরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
আলমডাঙ্গার খেজুরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাছলিমা খাতুনের বিরুদ্ধে ভুয়া বিল-ভাউচার দেখিয়ে সরকারি বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন স্বয়ং বিদ্যালয়ের সভাপতি শরীফুল ইসলাম।এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।
লিখিত অভিযোগসূত্রে জানা যায়, গত অর্থ বছরের বাজেটের কাগজপত্র, বিল ভাউচার স্বাক্ষর করে আলমডাঙ্গা উপজেলা শিক্ষা অফিসে জমা দেওয়া হয়। এতে সরকারি অনুদান হিসেবে পিইডিপি ও স্লিপের টাকা বাবদ এক লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ভ্যাট ও আয়কর বাদ দিয়ে এক লক্ষ ছাব্বিশ হাজার টাকা বরাদ্দ পায়।
তারমধ্য থেকে বিভিন্ন কাজে খরচ করা হয় তেষট্টি হাজার নয় শত তেষট্টি টাকা। বর্ষা মৌসুম ও বিভিন্ন কারনে বাকি টাকা খরচ করা হয় নাই। অবশিষ্ট বাষট্টি হাজার তিনশ সাতাশি টাকার তছরুপ করেছেন প্রধান শিক্ষক তাছলিমা খাতুন।
মাসিক সভায়ও তাছলিমা খাতুন অবশিষ্ট টাকার কোন হিসাব দিতে পারেননি।
প্রধান শিক্ষক তাছলিমা খাতুন ওই টাকা জায়েজ করতে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের দোহাই দিয়ে পার পেতে চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কথামত তিনি ওই টাকা ব্যয় করেছেন। এতে সভাপতিসহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা প্রতিবাদ করেন। তারা বলেন, বিদ্যালয়ের কোন কাজে টাকা খরচ করা হয়েছে সেই জায়গা দেখিয়ে দেন। প্রধান শিক্ষক এসময় ভুয়া বিল ভাউচার মাসিক সভায় জমা দেন। বিল ভাউচারে ক্রয় কমিটির সদস্যদের কোন স্বাক্ষর না থাকায় মাসিক সভায় তা গ্রহণ করা হয় নাই।
উল্লেখ্য, সাবেক সভাপতি আব্দুল জলিলও তার বিদায় বেলায় জানিয়ে যান যে, তার সময়ের শেষ অর্থ বছরেও তাছলিমা খাতুন এক লক্ষ টাকা তুলে নেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগে প্রধান শিক্ষক তাছলিমা খাতুনের বিরুদ্ধে অনিয়ম, অর্থ তছরুপ ও আত্মসাতের তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের আবেদন করা হয়েছে।