বজ্রপাতে ক্ষতিগ্রস্ত আলমডাঙ্গা বধ্যভূমি পরিদর্শন করলেন চুয়াডাঙ্গা ১ আসনের এমপি ও ডিসি
বজ্রপাতে ক্ষতিগ্রস্ত আলমডাঙ্গা বধ্যভূমি পরিদর্শন করলেন চুয়াডাঙ্গা ১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। গত ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে সকালে মুষলধারে বৃষ্টির সাথে মুহুর্মুহু বর্জপাতে আলমডাঙ্গা বধ্যভূমির ম্যুরালসহ মূল স্তম্ভে ব্যাপক ক্ষতি হয়। বজ্রপাত বধ্যভূমির মূল অংশের উপর পড়ে। এতে ভেঙ্গে যায় বধ্যভূমির মুল স্তম্ভের নির্যাতিত নারীর প্রতিক ম্যুরাল, মাথার খুলি ভাস্কর্য ও পাকা দেওয়ালের কিছু অংশ। ফাটল দেখা যায় বধ্যভ‚মির মূলস্তম্ভে বেশ কয়েক জায়গায়।
৩০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকালে বজ্রপাতে ক্ষতিগ্রস্ত আলমডাঙ্গা বধ্যভ‚মির মূল স্তম্ভ পরিদর্শনকালে এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার বলেন, বজ্রপাতে ক্ষতিগ্রস্থ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সম্ভলিত আলমডাঙ্গা বধ্যভ‚মির মূল স্তম্ভের নির্যাতিত নারী ম্যুরালসহ, মাথার খুলির ভাস্কর্যগুলো ভেঙ্গে পড়েছে। বধ্যভ‚মির আলোক সজ্জার সৌর প্যানেল পুড়ে গেছে। মূল স্তম্ভের কয়েক জায়গায় ফাটল দেখা গেছে। এ বিষয়গুলি জেলা প্রশাসকের সাথে আলোচনা করে দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফসার রনি আলম নূর, আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম, উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আরিফউদ্দৌলা, আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু মুছা, সাধারন সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহসভাপতি ও বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা, পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক সাইফুর রহমান পিন্টু, ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ পিন্টু, মাহমুদুল হাসান চঞ্চল, তরিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক মাসুদ রানা তুহিন, বণিক সমিতির সভাপতি আরেফিন মিয়া মিলন, সম্পাদক কামাল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ আলা উদ্দিন, সহসভাপতি কামরুজ্জামান হীরা, অ্যাড. মকলেছুর রহমান, কালিদাসপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জয়নাল আবেদীন, যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান জমির, সাংগঠনিক সম্পাদক রুবেল, কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক সোহেল রানা শাহিন, যুবলীগ নেতা আসাদুজ্জামান টুটুল, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি নয়ন সরকার, সম্পাদক নাহিদ হাসান তমাল, কলেজ ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল হোসাইন বাদশা, ছাত্রলীগ নেতা সাকিব, রকি, শিহাব, অটাল, সজিব, টিটন, টুটুল, জাকারিয়া প্রমুখ।
আকর্ষনীয়, আধুনিক ও চিত্রাকর্ষক থ্রিডি ডিজাইনের এই বধ্যভূমির ডিজাইনার আলমডার কৃতি সন্তান আব্দুস সালাম। যিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের অধ্যাপক। তিনি বিনা পারিশ্রমিকে নিজ হাতে সজ্জিত করেছিলেন বধ্যভূমি স্থাপনাটি।
বজ্রপাতে বধ্যভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হলে কথা হয় প্রফেসর আব্দুস সালামের সাথে। তিনি জানান, ম্যুরাল ফাইবারেদ তৈরি। তাই ক্ষতিগ্রস্ত কম হবে। যতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা মেরামত করা যাবে। ভেঙ্গে যাওয়া অংশগুলি যতœ করে সংরক্ষণ করা জরুরী। তাছাড়া, স্থাপনাটির নীচ কক্ষে থাকা ব্যাটারির কারণে বজ্রপাত আকর্ষিত হতে পারে। অধিক সতর্কতার জন্য ব্যাটারি মূল স্থাপনা থেকে অন্যত্র রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। এ সময় তিনি শীঘ্র রাজশাহী থেকে আলমডাঙ্গায় এসে বধ্যভূমি পরিদর্শন করবেন বলেও জানান।